খুলনার তেরখাদা উপজেলার পারহাজী গ্রামে অত্যন্ত মনোরম এবং নয়নাভিরাম পরিবেশে অবস্থিত আকন ফিশারিজ এন্ড এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ। সাড়ে ৩শ’ বিঘা জায়গা নিয়ে বিস্তৃত এ ফার্মটি। একইসঙ্গে এখানে উৎপাদিত হচ্ছে চিংড়ি মাছ, সাদা মাছ, সবজি, দেশী মুরগী, দেশী-বিদেশী বিভিন্ন প্রজাতির ফল। মাংস উৎপাদনের জন্য রয়েছে একটি ফার্ম। মাছ ফল, মাংস সব কিছুই এখানে উৎপাদিত হচ্ছে অর্গানিক পদ্ধতিতে। ফার্মটিতে বহু মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এলাকার আর্থসামাজিক উন্নয়নসহ জিডিপিতে বিশেষ অবদান রাখছে।
ফার্মটি তৈরী এবং এর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানতে চাওয়া হয় আকন ফিশারিজ এন্ড এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ এর স্বত্বাধিকারী মোঃ মুরাদ হোসেন সোহাগ এর কাছে। তিনি খুলনা গেজেটকে বলেন, ফ্যাটানিক ফার্মটাকে আরো বড় করার পরিকল্পনা এবং একই সাথে অর্গানিক এগ্রো বলতে যেটা বুঝায় এটা বৃহৎ আকারে করার পরিকল্পনা রয়েছে। অর্গানিক ফার্মিং যেখানে থাইল্যান্ড খুব ভাল অবস্থানে রয়েছে। আমরা কৃষি নির্ভরশীল দেশ, আমরাও চাই থাইল্যান্ডের মতো একটা অর্গানিক ফার্মের ভালো অবস্থানে পৌঁছাতে।
তিনি বলেন, এখনকার বাজার ব্যবস্থা, উৎপাদন সবকিছুর ভীতরই ভেজাল। একটা মাছ খাবেন সবজি খাবেন, ফল খাবেন, সব কিছুতেই ফরমালিন। এই জন্য মানুষদের কিছু ভালো জিনিস খাওয়ানো ও মানুষের জন্য ভালো কিছু করার ক্ষুদ্র প্রয়াস এটি। পাশাপাশি এই এলাকার আর্থসামাজিক উন্নয়ন হবে বলে আমি মনে করি। মানুষের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক অবস্থা পরিবর্তনে কিছুটা হলেও ভূমিকা রাখবে বলে বিশ্বাস রয়েছে তার। তিনি আরও বলেন, একটা প্রতিষ্ঠান এলাকাটিকে সুদৃঢ় এবং আমূল পরিবর্তন করতে পারে। এখানে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। দেশে জিডিপিতে তারা অবদান রাখছে। এই ফার্মও দেশের জিডিপিতে অবদান রাখছে। এতসব বিষয় মাথায় রেখেই ফার্মটি এখানে তৈরি করেছি।
তিনি তার বয়সী যুবকদের এ জাতীয় ফার্ম তৈরি করে নিজের দেশের জিডিপি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে দেশের মানুষের জন্য কিছু করার আহ্বান জানান।
মোঃ সোহাগ হোসেন মুরাদ খুলনা গেজেটকে আরও বলেন, ‘আকন ফিশারিজ এন্ড এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ’ একটা গ্রুপ অব কোম্পানির সিস্টার কনসার্ন। এই ফার্ম ছাড়াও আমাদের আকন এগ্রো এন্ড ফিশারিজ, ডেইরি ফার্ম, সেভ ফুড সুইটস, নিট কম্পোজিট, ডাইনিং, বেভারজ(যেখানে আমরা মসলা তৈরি করি), আমাদের অয়েল মিল আছে, প্যাকেজিং আছে। আমাদের ট্যুরিজম বিজনেস আছে, যেখানে ২৩ টি কনসার্ন রানিং রয়েছে। আমাদের কোম্পানির প্রোডাক্টস্ দেশের বাইরেও রপ্তানী করছি। দুগ্ধজাত পণ্যের জন্য আমরা আরও কিছু উন্নত মেশিনারিজ ইমপোর্ট করিতেছি, যাতে সেটার মান আরো উন্নত করা যায়।
তিনি বলেন, এ সকল প্রতিষ্ঠানে সাড়ে সাত হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। আমরা সর্বদা দেশের জিডিপিতে একটা ভালো আবদান রেখে দেশের কল্যাণের জন্য ভালো অবস্থান তৈরি করার চেষ্টা করি । এ লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা কাজ করি।
খুলনা গেজেট/ টি আই