সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই নবরূপে সেজে উঠছে অযোধ্যা। করোনা মাথায় নিয়ে ধুমধাম করে রামমন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়ে গেছে আগেই।
এবার প্রস্তাবিত মসজিদের ‘ব্লু-প্রিন্ট’ও সামনে এলো। তাতে মসজিদের পাশাপাশি প্রস্তাবিত মাল্টি স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের নকশাও তুলে ধরা হয়েছে। আর এক ঝলকেই তা নজর কেড়েছে সকলের। খবর- আনন্দবাজারের
গত বছর অযোধ্যা মামলার রায় শোনায় সুপ্রিম কোর্ট। তাতে অযোধ্যার ওই বিতর্কিত জায়গায় রামমন্দির নির্মাণে সায় দেওয়ার পাশাপাশি মসজিদ নির্মাণের জন্য অন্যত্র পাঁচ একর জমির বন্দোবস্ত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। নির্দেশ মতো কাজও এগোতে শুরু করে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতে মহাসমারোহে মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়ে গেলেও, মসজিদ নির্মাণ নিয়ে তেমন সাড়াশব্দ শোনা যায়নি এত দিন।
তবে শনিবার সেই নীরবতা ভাঙে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড দ্বারা গঠিত ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন (আইআইসিএফ)। অযোধ্যায় মসজিদ তৈরির দায়িত্বে থাকা ওই সংগঠনই এ দিন মসজিদ চত্বরের নকশা প্রকাশ করে।
তাতে দেখা যায়- ঐতিহ্য মেনে মসজিদের মাথায় বিশালাকার গম্বুজ থাকলেও, তা আদ্যোপান্ত পাশ্চাত্য স্থাপত্যের আদলে তৈরি করা হচ্ছে। মসজিদের মূল ভবনটিও আধুনিক স্থাপত্যেরই নিদর্শন। মসজিদ চত্বরে থাকছে পার্কিংয়ের ব্যবস্থাও।
আর মসজিদ লাগোয়া প্রস্তাবিত হাসপাতালটির যে নকশা তুলে ধরা হয়েছে- শহরের ঝাঁ-চকচকে বিল্ডিংগুলো তার কাছে হার মানতে বাধ্য। মসজিদ প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা মুখ্য আর্কিটেক্ট এসএম আখতার বলেন, ‘হাসপাতালে ৩০০ বেডের ব্যবস্থা থাকবে।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের আনা হবে। মসজিদে একসঙ্গে কয়েকশ মানুষ নমাজ পড়তে পারবেন। গোটা মসজিদটি হবে সৌরশক্তিচালিত। মসজিদের ভিতরের তাপমাত্রা বাড়ানো-কমানোর ব্যবস্থা থাকবে।’
এছাড়াও মসজিদের জন্য বরাদ্দকৃত পাঁচ একর জমিতে কমিউনিটি কিচেন এবং গ্রন্থাগার নির্মাণ করা হবে বলে জানান তিনি। দুঃস্থ মানুষদের সেখানে দু’বেলা খাওয়ার ব্যবস্থাও থাকবে।
আগামী বছরের ২৬ জানুয়ারি প্রস্তাবিত মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হবে বলে জানিয়েছেন আখতার। তিনি জানান, সাত দশক আগে ওই দিন দেশের সংবিধান কার্যকর হয়েছিল। তাই ওই দিনটিকেই মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল তৈরির কাজ শুরু হবে দ্বিতীয় পর্যায়ে।
খুলনা গেজেট/কেএম