‘অভয়নগরের সুর, খাঁটি খেজুরের গুড় ’’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে যশোরের অভয়নগরে তিন দিনব্যাপি গুড় মেলা ও পিঠা উৎসব এর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১০ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে নওয়াপাড়া শংকরপাশা সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে মেলা শুরু হয়, চলবে আগামী সোমবার পর্যন্ত।
মেলায় রয়েছে অসংখ্য স্টল। মেলায় আগত হাজারো নারী-পুরুষের চোখে-মুখে আনন্দ-উচ্ছাস। এ যেন শহরের মাঝে এক গ্রামীণ মেলা। এর আগে উপজেলা চত্বর থেকে বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে হাজারো লোকের সমগমে র্যালী করে মেলার স্থানে যেয়ে তা শেষ হয়। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেঁজুরের রস, খাটি গুড়ের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে এবং দেশব্যাপী এটি ছড়িয়ে দিতে প্রথমবারের মতো এই মেলার আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন। এসময় অনুষ্ঠানের লোগো ও ওয়েবসাইড উম্মোচন করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম আবু নওশাদ এর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,যশোর স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক মো. রফিকুল হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, যশোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) তুষার কুমার পাল,যশোর খ-সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহিদুল ইসলাম সোহাগ পিপিএম-সেবা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) থান্দার কামরুজ্জামান,অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম আকিকুল ইসলাম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আহম্মদ খান, নওয়াপাড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি নজরুল ইসলাম মল্লিক।
এদিকে উৎসব রূপ নেয় গ্রামীণ মেলায়। মেলা মঞ্চে চলছে গ্রামবাংলার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। স্টলগুলোতে রয়েছে,রস, গুড়, খেজুরের গুড়ের তৈরি হরেক রকমের পিঠা-পায়েস মেলার মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকগুণ। মেলার ৩১টি স্টলে হাজারি গুড়, খেজুরের গুড় দিয়ে তৈরি নানা ধরনের পিঠা-পায়েস-মুড়ি-মুড়কি। রয়েছে খেজুর গাছের চারা, বাঁশ-বেত ও মাটির তৈরি জিনিস, বাদ্যযন্ত্র একতারা, দোতারাসহ গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী জিনিসপত্র। প্রতিটি স্টল ও মেলা প্রাঙ্গন হাজারো মানুষের পদচারণায় মুখরিত। পিঠা-পায়েস খেতেও ব্যস্ত দেখা যায় সব বয়সীদের। তবে গ্রাম বাংলার হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে এবং দেশব্যাপী এটি ছড়িয়ে দিতে প্রথমবারের মতো এই আয়োজন করার জন্য উপজেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছে
মেলায় আসা সাধারণ মানুষ।
মেলার উদ্বোধন করে প্রধান অতিথি বলেন,অভয়নগরের ঐতিহ্য খাঁটি খেজুর গুড়ের সুনাম দেশব্যাপী।অভয়নগরের খাঁটি গুড়ের ঐতিহ্য ছড়িয়ে দিতে এই গুড়ের উৎপাদন বাড়ানো এবং নতুন নতুন গাছি তৈরি করতেই এই মেলার আয়োজন।
খুলনা গেজেট/কেডি