যশোরের অভয়নগরে এক কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত ৩ জনকে আটক করেছে থানা পুলিশ। শনিবার বিকালে পুলিশের অভিযানে তাদেরকে আটক করা হয়। অভিযুক্তরা হলেন মনিরামপুর উপজেলার লাউড়ী গ্রামের লিয়াকত আলী বিশ্বাসের ছেলে হাসান আলী (২৬), খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার অর্জুনপুর গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে হাবিব (২৮) ও একই এলাকার মৃত আফিল উদ্দিন শেখের ছেলে ফরিদকে (২২) আটক করা হয়। রোববার আটককৃতদের যশোর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা হয়েছে।
জানা গেছে, এক কিশোরী তার ২ বছর বয়সের ভাগ্নেকে নিয়ে নওয়াপাড়া পৌরসভার গুয়াখোলা গ্রামে বড় বোনের শ্বশুর বাড়ি থেকে পৈত্রিক ভাড়া বাড়িতে যাওয়ার সময় ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ওই কিশোরী বাড়ি যাওয়ার পথে হাসান আলী ও হাবিব গতিরোধ করে রাস্তার পাশের একটি বাগানে নিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এ সময় লম্পট হাসান আলী ও হাবিব তাদের সহযোগী ফরিদকে ঘটনাস্থলে ডাকে। ফরিদ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ওই কিশোরীর কোলের ভাগ্নেকে ফরিদ তার সাথে নিয়ে একটু দূরে অবস্থান করে। এসময় প্রথমে হাসান আলী ও পরে হাবিব কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এসময় কিশোরী চিৎকার দিলে হাসান আলী ও হাবিব পালিয়ে যায়। এসময় ওই কিশোরী তার কোলের ভাগ্নেকে খোঁজাখুঁজি করলে ফরিদ ওই কিশোরীর ভাগ্নেকে রাস্তার পাশে ফেলে পালিয়ে যায়।
পরে ওই কিশোরী বাড়িতে গিয়ে ঘটনাটি পরিবারের সদস্যদের জানালে পরিবার থানায় অভিযোগ করেন। এরপর অভয়নগর থানার ওসি মো. তাজুল ইসলামের নেতৃত্বে এক পুলিশের দল অভিযান চালিয়ে নওয়াপাড়া পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা থেকে ওই ৩ যুবককে আটক করে।
এ ব্যাপারে অভয়নগর থানার ওসি মো. তাজুল ইসলাম জানান, আটককৃত ৩ জনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ধর্ষণের সত্যতা স্বীকার করেছে। রোববার তাদেরকে যশোর জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম