অভয়নগরে ৪শ পরিবারে এক মাত্র আয়ে উৎস, ১২টি মাছের খামারে একের পর এক বিষ প্রয়োগে মাছ চুরির ঘটনায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে খামারিরা। যে কারণে আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন তারা।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১৯সেপ্টেম্বর) সকালে অভয়নগর থানায় উপজেলার শুভরাঢ়া ইউনিয়নের বাশুয়াড়ি গ্রামের বালিরডাঙ্গা বিলের মৎস্য চাষিরা এ অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয়রা জানান, গত দিবাগত গভীর রাতের কোন এক সময় এলাকার বায়জিদ, আমিনুর ও তুহিনের মৎস্য ঘেরে কে বা কারা বিষাক্ত দ্রব্য প্রয়োগ করে সাদা মাছ ও চিংড়ি মাছ চুরি করে নিয়ে গেছে। যা অবশিষ্ট ছিল সেই মাছ মারা যাওয়া, সহ নষ্ট হয়ে গেছে। এতে তাদের ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা জানান।
জানা গেছে, চলতি মাসের (১১সেপ্টেম্বর) ভোর রাতে বায়জিদ শেখের দেড় বিঘা মৎস্য খামারে, আমিনুর শেখের ৪ একর মৎস্য খামারে ,তুহিন শেখের ২ বিঘা মৎস্য খামারে বিষ প্রয়োগ করে মাছ চুরি করা হয়েছে।
এছাড়া এর কয়েকদিন আগে একই এলাকায় আরো দুটি ঘেরে এমন ঘটনা ঘটেছে। মৎস্য ঘের চাষিরা বর্তমানে বিষাক্তদ্রব্য দিয়ে মাছ চুরির আতঙ্কে রয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা হলেন, বায়জিদ হোসেন, আশরাফ আলী, মো: আব্দুল্লাহ, আজাহার শেখ শাহাদাত হোসেন, শফিকুল মোল্যা, তুহিন শেখ, তোহিদ হাসান, মহোরম শেখ, ইউসুফ মোল্যা, রেজাউল শোল্যা, জালাল মোল্যা, রফিক শেখ, লুৎফর শেখসহ আরো অনেকেই।
খামারিরা বলেন, দির্ঘদিন যাবৎ তাদের মাছের খামারে মাছ চাষ করে আসছেন। এই এলাকার প্রায় ৪’শ পরিবার মাছ চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। কিন্তুু সম্প্রতি আমাদের ঘেরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে কিছু দূর্বৃত্তরা। এমন ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। রাতের আধারে তারা মাছ চুরি করে স্থানীয় পানের বরজে বন্টন করে তার প্রমাণ তারা ইতোমধ্যে পেয়েছে বলে জানান। একদিকে তারা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সেই সাথে পড়েছেন আর্থিক সংকটে।
খামারি আমিনুর শেখ জানান, বিষ দেয়ার ফলে ছোট বড় মিলিয়ে গলদা চিংড়ি, রুই, কাতলা ও মৃগেলসহ বিভিন্ন প্রজাতির অন্তত হাজার হাজার মাছ মারা গেছে। চলতি বছরের আগস্ট মাসের শেষের দিকে শ্হাাদাত শেখ, রফিক শেখ, লুফর শেখের মৎস্য খামারে বিষ প্রয়োগ করে মাছ চুরি করা হয়। জুন মাসে আশরাফ আকঞ্জী রেজাউল মোল্যা, জালাল মোল্যার মৎস্য খামারে বিষ দেওয়া হয়। এপ্রিল মাসে ইউনুছ শেখের খামারে বিষ দিয়ে মাছ শিকার করা হয় হয়েছে বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে অভয়নগর অফিসার ইনর্চাজ এবিএম মেহেদী মাসুদ বলেন, ঘটনা শুনেছি। এবং পুলিশের টিম পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খুলনা গেজেট/ টিএ