যশোরের অভয়নগরে আশা ভাটায় তৈরি হচ্ছে গ্রীন নামের ইট। অভিনব কায়দায় প্রতারণা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় যশোর জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং সি আর- ২১৯/২২।
জানা গেছে, উপজেলার ৬নং বাঘুুটিয়া ইউনিয়নের সিঙ্গেড়ী গ্রামে অবস্থতি মের্সাস আশা ব্রিকস্। প্রতারণার মাধ্যমে আব্দুল কাদের বাবু নামক এক ব্যক্তির নেতৃত্বে স্থানীয় ভাটার ম্যানেজার মিজান ও আরাফাত নুর ইসলাম নামক একব্যক্তির কাছ থেকে নিয়ে ভাটা চালাতে শুরু করে। মেয়াদ শেষ হলে ও তারা নামছেন না। দখল নিয়ে আশা ভাটার নাম বদল করে প্রতারণার মাধ্যমে ভাটা চালিয়ে যাচ্ছে।
তাছাড়াও পরিবেশ অধিদপ্তরে ছাড় পত্র না পেলেও তারা নাম বদল করে গ্রীন ভাটা রেখেছে। জায়গার মালিক নুর ইসলাম দু-বছর ধরে ভাটা উদ্ধারে র্ব্যথ হয়ে ৩ জনকে আসামী করে যশোরের জুডিশিয়্যাল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা সূত্রে জানাগছে, নওয়াপাড়া বউ বাজার নামক স্থানের নুর ইসলাম উপজলোর সিঙ্গেড়ী গ্রামে প্রায় ১৪ বিঘা জমি লিজ নিয়ে প্রায় ২০ বছর আগে গড়ে তোলেন আশা ব্রিকস্ নামে একটি ইটভাটা। ভাটা চালাতে অর্থের সমস্যা হলে গাজীপুরের পীর মরহুম মেছের কাজীর ছেলে আব্দুল কাদের বাবু বর্ণিত ইট ভাটাটি ৭ বছর মেয়াদে নিয়ে ইট উৎপাদন শুরু করেন।
শর্ত থাকে যে, প্রথম বছর ৪ লাখ টাকা এবং পরর্বতী ৬ বছর বার্ষিক ৫ লাখ টাকা হারে নুর ইসলামকে প্রদান করবেন। উক্ত চুক্তিপত্রটির কার্যক্রম শুরু হয় গত ২০১৬ সালের ২ অক্টোবর। আব্দুল কাদের বাবু সিঙ্গেড়ী গ্রামের মিজানুরকে ম্যানেজার ও মরিচা গ্রামরে আরাফাতকে দেখাশুনার জন্য নিয়োগ দেন। তারা দুইজনে ভাটা দেখাশোনা করতে থাকে। এসময় আব্দুল কাদের বাবু ৪ বছর ভাটা পরিচালনা করে ২০২০ সালের ২ জুলাই ৩শ’ টাকার নন জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে লিখিত নিয়ে ৮ প্রকার ইট তৈরীর পণ্য সামগ্রী যার মূল্য ২৪ লাখ টাকা নুর ইসলামকে ফেরত প্রদান করে। এত কম টাকায় নুর ইসলাম নাখস হন। তিনি তাদের শর্তে আর রাজি হন না।
এ বিষয়ে ভাটার মুল মালিক নুর ইসলাম বলেন, আঃ কাদের বাবু ভাটার কাগজপত্র ফেরত দেয়ার র্পূবে মিজান ও আরাফাতকে ২০১৭ সালে গোপনে একটি চুক্তিপত্র করে । আঃ কাদের বাবু মালিকানা দাবি করে মিজান ও আরাফাতকে দিয়ে ব্যবসায় করতে থাকে। যার কারণে বাবুর প্রতারণা ২০২০ সালে প্রকাশ্যে রুপ নেয়।
সরেজমিনে ইট ভাটায় গিয়ে দেখা যায়, কোন প্রকার মালিক পক্ষের অনুমতি ছাড়া আশা ব্রিকসে গ্রীন ইট উৎপাদন করা হচ্ছে। বর্তমানে দখলে থাকা মিজান ও আরাফাত ওই ইট বাজারজাত করছে। এ দিকে প্রতারণা করে আশাভাটা দখলে নেয়ার অভিযোগ মালিক পক্ষের করা মামলা বিজ্ঞ আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন তদন্ত প্রদান করতে নির্দেশ করেছেন।
আব্দুল কাদের বাবু বলেন, বিভিন্ন প্রকার ইট তৈরীর পণ্য সামগ্রী যার মূল্য ২৪ লাখ টাকা নুর ইসলামকে ফেরত দিয়েছি। নুর ইসলামের সাথে বসে বিসয়টি আমি ঠিক করে নেব।
অভয়নগর থানার অফির্সাস ইনর্চাজ একেএম শামীম হাসান জানান, এই মামলাটির বিষয়ে জানি। তবে মামলাটি তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন।