কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নামে শ্রীলঙ্কা। মিনোদ ভানুকা ও অভিষ্কা ফার্নান্দোর উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৫৭ রান। এইডেন মারক্রাম বলে বোল্ড হন মিনোদ। রানের খাতা খোলার আগেই কেশব মহারাজের শিকার হন ভানুকা রাজাপাকসা।
তৃতীয় উইকেটে ৭৯ রানের জুটি গড়েন অভিষ্কা ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। ৬২ বলে ৪৪ রান করে কেশবের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন ধনঞ্জয়া। চতুর্থ উইকেটে শ্রীলঙ্কার বড় স্কোরের ভিত গড়ে দেন অভিষ্কা ও চরিথ আসালঙ্কা। ৯৭ রানের জুটি গড়েন তারা। আসালঙ্কা অর্ধশতক হাঁকিয়ে কাগিসো রাবাদার শিকার হলেও শতক তুলে নে অভিষ্কা।
অভিষ্কা ১১৫ বলে ১১৮ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন। তাবরাইজ শামসির শিকার হওয়ার আগে অভিষ্কা হাঁকান ১০টি চার ও ২টি ছক্কা। দলীয় ২৩৪ রানে মাঠ ছাড়েন তিনি। তারপরের আর কোনো ব্যাটসম্যান রান করতে পারেননি। আসালঙ্কা একাই দলকে টেনে নিয়ে যান।
৬২ বলে ৭২ রান করে শেষ সাজঘরে ফেরেন আসালঙ্কা। তার ইনিংসে ছিল ৬টি চার ও ১টি ছক্কা। নির্ধারিত ৫০ ওভারে শ্রীলঙ্কা সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ৩০০ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ২টি উইকেট নেন মহারাজ ও রাবাদা।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৪৯ রানে প্রথম উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। দ্বিতীয় উইকেটে ১১৭ রানের জুটি গড়েন মারক্রাম ও টেম্বা বাভুমা। অধিনায়ক বাভুমা আঘাত পেয়ে মাঠ ত্যাগ করেন ৫৩ বলে ৩৮ রান করে। মারক্রাম সেঞ্চুরির স্বপ্ন দেখিয়েও হতাশ করেন। ৯০ বলে ৯৬ রান করে প্রবীণ জয়বিক্রমের শিকারে পরিণত হন।
র্যাসি ফন ডার ডুসেনের ব্যাটে এগিয়ে যেতে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকা। উইকেট না হারালেও তাদের জয়ের পথ ক্রমশ কঠিন হতে থাকে। র্যাসির ব্যাটে দক্ষিণ আফ্রিকা জয়ের পথে থাকলেও ৫৯ বলে ৫৯ রান করে অকিলা ধনঞ্জয়ার বলে বোল্ড হন তিনি। কাইল ভেরেইন ২০ বলে ১২ রান ও অ্যান্ডিলে ফেহশুকাইয়রোর ৮ বলে ৫ রান দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের সমীকরণ আরও কঠিন করে দেয়।
দক্ষিণ আফ্রিকা আবারও জয়ের আশা দেখানো হেনরিখ ক্লাসেন ৩১ বলে ৩৬ রান করে শেষ ওভারে রান আউট হন। ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৮৬ রানে থামে প্রোটিয়ারা। ফলে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ১৪ রানের জয়ে শুরু করল শ্রীলঙ্কা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
শ্রীলঙ্কা ৩০০/৯ (৫০ ওভার)
অভিষ্কা ১১৮, আসালঙ্কা ৭২, ধনঞ্জয়া ৪৪;
মহারাজ ২/৩০, রাবাদা ২/৬৬।
দক্ষিণ আফ্রিকা ২৮৬/৬ (৫০ ওভার)
মারক্রাম ৯৬, র্যাসি ৫৯, বাভুমা ৩৮*, ক্লাসেন ৩৬;
অকিলা ২/৬৫।
শ্রীলঙ্কা ১৪ রানে জয়ী।
খুলনা গেজেট/এনএম