অনিয়মের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তলবের চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জান্নাতুল ফেরদৌসী রুপার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এতে আগামী ২৭ জানুয়ারির মধ্যে দুদকে যেতেই হবে রাষ্ট্রের এই আইন কর্মকর্তাকে। বৃহস্পতিবার বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
রায়ে হাইকোর্ট বলেন, ‘দুর্নীতির অভিযোগ এলে সরকারি কর্মকর্তাসহ যে কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করার ক্ষমতা রয়েছে দুদকের।’
আদালত পর্যবেক্ষণে আরো বলেন, ‘ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জান্নাতুল ফেরদৌসী রুপাকে তলবে তার মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ণ হয়নি; বরং এটি তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের ব্যাখ্যার জন্যই ডাকা হয়েছে।’
আদালতে রুপার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, জেড আই খান পান্না ও অ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন দোলন। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।
এ বিষয়ে দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেন, ‘ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জান্নাতুল ফেরদৌসী রুপার আবেদন খারিজ করে হাইকোর্ট রায় দিয়েছেন। এখন তাঁকে দুদকে হাজির হতে হবে।’
এর আগে গত ২৯ অক্টোবর ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ঘুষ গ্রহণ করে জি কে শামীমসহ বিভিন্ন আসামির সঙ্গে আঁতাত করে জামিন করিয়ে বিপুল অর্থ লোপাটসহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে রুপাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে দুদক।
গত ৪ নভেম্বর সকাল ১০টায় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জান্নাতুল ফেরদৌসী রুপার হাজির হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দুদকের চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে তিনি হাইকোর্টে আবেদন করেন। গত ৩ নভেম্বর প্রাথমিক শুনানিতে হাইকোর্ট জান্নাতুল ফেরদৌসী রুপাকে দুদকের হাজির হওয়ার জন্য এক মাস সময় দিয়ে রিটের আবেদনের ওপর শুনানি করতে বলেন। কিন্তু ওই দিন তিনি হাজির না হয়ে অসুস্থতার জন্য আবারও সময় প্রার্থনা করেন। পরে দীর্ঘদিন শুনানি শেষে আজ হাইকোর্ট এ ব্যাপারে আদেশ দেন। আদেশে আইন কর্মকর্তার আবেদনটি খারিজ করা হয়। আগামী ২৭ জানুয়ারির মধ্যে তাঁকে দুদকে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম