অভয়নগরে অস্ত্র জমা দেয়ার শেষ দিন পর্যন্ত ২৮টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা পড়েছে। এসব অস্ত্র আওয়ামী লীগ নেতা ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ীদের কাছে ছিল। তারা বিভিন্ন সময়ে এসব অস্ত্র ব্যবহার করেছেন। বুধবার থেকে নেমেছে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে এ সাথে নেমেছে যৌথ বাহিনী। যৌথ অভিযানে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র্যাবসহ বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা থাকবেন।
অভয়নগর থানা সূত্রে জানা গেছে, অভয়নগরে বেসামরিক ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অস্ত্রের সংখ্যা ছিল ২৮টি। এর মধ্যে ২৮টি অস্ত্র আওয়ামী লীগের নেতা এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ীদের কাছে ছিল। মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৮টি অস্ত্র (পিস্তলসহ বিভিন্ন অস্ত্র) জমা হয়েছে। তবে লাইসেন্সকৃত অস্ত্র জমা দিলেও কোন অবৈধ অস্ত্র জমা পড়েনি।
জানা গেছে, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে গত ৫ আগস্ট পর্যন্ত বেসামরিক লোকজনকে দেয়া আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে। ওই সময়ে যাদের লাইসেন্স দেয়া হয়েছে, তাদের ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে গোলাবারুদসহ আগ্নেয়াস্ত্র সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিতে বলা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা অনুযায়ী অস্ত্র-গোলাবারুদ জমা দেওয়ার শেষ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পর অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ অভিযান শুরু হয়। অবৈধ অস্ত্রধারীদের গ্রেফতারে অভিযান শুরুর খবর অনেকে স্বাগত জানিয়েছেন।
অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আকিকুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার রাত ৯ টা পর্যন্ত ২৮টি অস্ত্র জমা হয়েছে। কোন অবৈধ অস্ত্র জমা পড়েনি।তবে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চালানো হবে।
খুলনা গেজেট/এমএম