বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে এক দফা দাবিতে অসহযোগ কর্মসূচি সফল করতে অভয়নগরের নওয়াপাড়া পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড বেঙ্গল মিল গেট এলাকায় অবস্থান নিয়েছে ছাত্র-জনতা। রোববার (৪ আগস্ট) সকাল ১০ টা থেকে পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড বেঙ্গল মিল গেট এলাকায় অবস্থান নিতে জড়ো হতে শুরু করেন শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মিছিল নওয়াপাড়া বেতার এলাকা থেকে শুরু করে যশোর খুলনা মহাসড়কে প্রদক্ষিণ করে। প্রায় ২ ঘণ্টা মিছিল করে পুনরায় ওই গেটে অবস্থান নেয় ছাত্র-জনতা। পরে ছাত্র-জনতা বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত অবস্থা নিয়ে এসময় তারা নওয়াপাড়া হাইওয়ে থানা ভাংচুর করে।
জানা যায়, চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে সারা দেশে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, গুলি, হত্যার প্রতিবাদে নয় দফা দাবির পর ১ দফা ১ দাবিতে যশোরের অভয়নগরে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা। রবিবার সকাল ১০ টায় নওয়াপাড়া বেঙ্গলগেট সংলগ্ন যশোর খুলনা মহাসড়কের উপরে এ বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে একই সময়ে অভয়নগর উপজেলা আওয়ামীলীগ ও অংগসংগঠেনর নেতা কর্মীরা অবস্থান নেয় আওয়ামীলীগ পার্টি অফিসের সামনে। এদিকে কর্মসূচিকে ঘিরে শহরে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবস্থানে ছিলেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় আন্দোলনকারীরা বলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচির অংশ হিসেবে তাদের এই অবস্থান।
তারা আরো বলেন, আমাদের এক দফা এক দাবি মানতে হবে, তবেই আমরা রাজ পথ ছেড়ে বাড়ি ফিরব। এদিকে ছাএদের আন্দোলন চলাকালীন সময়ে নওয়াপাড়া হাইওয়ে থানা ভাংচুর ও হাইওয়ে থানার ভিতরে থাকা পুলিশের টহল গাড়ী ভাংচুর করে দূর্বৃত্তরা। রাস্তায় টায়ার জালিয়ে রাস্তা বেরিকেট দিয়ে সাড়ে তিন ঘন্টা রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। পরে সমাবেশে বক্তব্য দেন কলেজ শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম, রহিম হোসেন, রাসেল, সজল, রহমান প্রমুখ।
এ সময় তারা স্লোগান দেন ,’আমি কে, তুমি কে রাজাকার রাজাকার, কে কে বলেছে, কে বলেছে স্বৈরাচার, ‘বাংলাদেশের জনগণ, নেমে আসুন নেমে পড়ুন’, ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেব রক্ত’ ইত্যাদি।
যদিও তারা শনিবার রাতে মাঠে নামবে বলে ঘোষণা দিয়েছিল। অন্য দিয়ে অভয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মীদের একটি অংশ লাঠিশোটা নিয়ে নওয়াপাড়া শংকরপাশা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়। পরে একটি ঝটিকা মিছিল বের হয়ে স্টেশন বাজার প্রদক্ষিণ করে আবার নওয়াপাড়া নুরবাগ বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে অবস্থান নেয়।
এ সময় নওয়াপাড়ার ব্যবসায়ীরা তাদের অফিস ও দোকানপাট বন্ধ করে দেয়।