যশোরের অভয়নগরে আদর করতে গিয়ে বিরল প্রজাতীর কালোমুখো হনুমানের কামড়ে অমৃত বিশ্বাস (১১) নামে এক স্কুলছাত্র আহত হয়েছেন। বুধবার (৮ মে) দুপুরে উপজেলার শ্রীধরপুর ইউনিয়নের কোদলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত স্কুলছাত্র কোদলা গ্রামের সমীরণ বিশ্বাসের ছেলে। সে কোদলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত স্কুলছাত্র অমৃত বিশ্বাস বলেন, বুধবার বেলা ১২ টার দিকে প্রতিবেশী গফ্ফার দাদুর বাড়িতে একটি কালোমুখো হনুমান এসেছে শুনে দেখতে যাই। দাদুর বাড়িতে পৌঁছালে ঘরের বারান্দায় বসে থাকা হনুমানটি দৌঁড়ে এসে আমার পা জড়িয়ে ধরে। এসময় মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করতে গেলে হনুমানটি আমার বুকে কামড় দিয়ে পালিয়ে যায়।
অমৃত বিশ্বাসের বাবা সমীরণ বিশ্বাস বলেন, বিলে ধান কাটার কাজ করছিলাম। খবর পেয়ে প্রতিবেশী গফ্ফারের বাড়ি থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় ছেলেকে উদ্ধার করি। পরে স্থানীয় মেম্বারের পরামর্শে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে নিয়ে যাই।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা. সোহানা আজমীর উর্মি বলেন, হনুমানের কামড়ে আহত স্কুলছাত্র অমৃত বিশ্বাসের বুকে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভ্যাকসিন দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
তিনি আরো বলেন, এর আগে সকালে একই ইউনিয়নের পুড়াখালী গ্রামের আবিদ মোল্যা (১২) নামে এক স্কুলছাত্র হনুমানের আক্রমনে আহত হয়। তাকেও প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে।
কোদলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক লাবলু হোসেন বলেন, বিরল প্রজাতীর হনুমানের কামড়ে ৪র্থ শ্রেণির অমৃত আহত হয়েছে। ঘটনার পর প্রত্যেক শ্র্রেণির শিক্ষার্থীদের বন্যপ্রাণি থেকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম আবু নওশাদ বলেন, ‘কালোমুখো এক হনুমানের কামড়ে স্কুলছাত্র আহত হয়েছে বলে সংবাদ পেয়েছি। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের কাজে আমি পাশ্ববর্তী উপজেলায় রয়েছি। তবে হামলাকারী হনুমানটি ধরতে বিভাগীয় বন্যপ্রাণি রক্ষা দপ্তরের কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।’
খুলনা বিভাগীয় বন্যপ্রাণি রক্ষা কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান মুঠোফোনে বলেন, ‘খাবারের সন্ধানে এ ধরণের বন্যপ্রাণি লোকালয়ে চলে আসে। এসব প্রাণির সংস্পর্শে না যাওয়া ভালো। আর অভয়নগরে আমাদের প্রতিনিধি পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’
খুলনা গেজেট/এএজে