যশোরের অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের হস্তক্ষেপে বন্ধ করা হলো বাল্যবিবাহ। বাল্যবিবাহের ঘটনায় কনে পক্ষের অভিভাবক ও বর পক্ষের অভিভাবককে বরকনে সহ ইউএনও অফিসে রবিবার হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে । ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার নওয়াপাড়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড এর গুয়াখোলা গ্রামের শাহীমোড় এলাকায়।
শুক্রবার(৭ জুন) বিকেলে এ ঘটনাটি ঘটে। কনে ওই গ্রামের মোহাম্মদ আলীর মেয়ে তাকিয়া খাতুন (১৩)। আর বর হচ্ছেন একই গ্রামের জয়নাল গাজীর ছেলে সাব্বির হোসেন।
স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার উপজেলার গুয়াখোলা গ্রামের একতা সমিতির পাশে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ের সঙ্গে একই গ্রামের হাসপাতাল রোড এলাকার বাসিন্দা এক ছেলের সঙ্গে বিয়ের আয়োজন চলছিল। এমন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম আবু নওশাদ কনের বাড়িতে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। প্রশাসনের খবর পেয়ে বর পক্ষ পালিয়ে যায়। পাশাপাশি মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত তাদের বিয়ে দেবেন না মর্মে পরিবারের অভিভাবকদের সতর্ক করে আগামী রোববার ইউএনও অফিসে হাজির হওয়ার জন্য বলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসের ট্রেইনার আকলিমা খাতুন, কিশোর-কিশোরী জেন্ডার প্রোমোটার সাগর বৈরাগী ও অভয়নগর থানার পুলিশ সদস্যবৃন্দ।
এ বিষয়ে অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম আবু নওশাদ বলেন, কনে পক্ষ জাল জন্ম সনদ তৈরি করে বিয়ের প্রস্তুতি নিয়েছিল।বাস্তবে কনের বয়স ১৩।
তিনি আরো বলেন, বাল্যবিবাহ বেআইনি। এতে অসংখ্য মেধাবী শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবনের ইতি ঘটে। বাল্যবিবাহ হচ্ছে মাতৃ মৃত্যু, নারী নির্যাতন ইত্যাদির প্রধান অনুঘটক।
খুলনা গেজেট/এএজে