অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধের দাবিতে খুলনা বিভাগীয় পরিবহণ মালিকদের ডাকা ধর্মঘটের প্রথম দিনেই সড়ক মহাসড়কগুলো ছিল উচ্চ আদালতের আদেশে নিষিদ্ধ নসিমন-করিমন-মাহিন্দ্রার দখলে। মালিক পক্ষের ডাকা এমন ধর্মঘটে বিপাকে পড়েন সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ, রোগীসহ নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শত শত বেকার । তিন চাকার যানবাহনে আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। এমন অযৌক্তিক ধর্মঘটের কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ মানুষেরা। বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সমাবেশকে ঘিরে এমন ধর্মঘট ডাকা হয়েছে বলে দাবি তাদের।
একই অভিযোগ করেছে বিএনপি। দলটির রামপাল উপজেলার সাবেক দপ্তর সম্পাদক কাজী জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা পক্ষকাল ব্যাপী সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করেছি খুলনা বিভাগীয় সমাবেশ সফলের লক্ষ্যে। হঠাৎ করে অযৌক্তিক ধর্মঘট ডাকা সরকারের জন্যেও আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত বলে জানান এ নেতা। তিনি বলেন, আমাদের ৬০ থেকে ৭০ ভাগ নেতাকর্মী ইতিমধ্যে খুলনা পৌঁছে গেছেন। যে কোন মূল্যের বিনিময়ে আমরা আমাদের সমাবেশ সফল করবো ইনশাল্লাহ। তিনি আরও অভিযোগ করেন, আমাদের নেতাকর্মীদের পথে পথে বাঁধা দেয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে খুলনা জেলা বাস মিনিবাস কোস মাইক্রোবাস মালিক সমিতির দায়িত্বশীল কারো সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে তাদের লিখিত প্যাডে সিলমোহর যুক্ত স্বাক্ষরিত এক পত্রে দেখা যায়, উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করে সড়ক ও মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচল করছে। এগুলো বন্ধের দাবিতে তারা মূলত এ ধর্মঘট ডেকেছেন বলে পত্রে উল্লেখ করেন। কিন্তু দিনভর অবৈধ যানবাহনের দখলেই ছিল সড়ক মহাসড়ক। সড়কে এমন যানবাহন বন্ধের জন্য কোন অথরিটিই প্রতিবেদকের নজরে পড়েনি।
খুলনা গেজেট/ টি আই