অবৈধ অস্ত্র ও গুলি রাখার অভিযোগে করা মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে মো. সাহেদ করিমের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে গুলি রাখার অপরাধে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দুটি আদেশ একসঙ্গে কার্যকর হবে।
সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ রায় ঘোষণা করেন। এর আগে সোমবার বেলা ১২টা ৩২ মিনিটে সাহেদকে নিয়ে আসা হয় আদালতে।
আলোচিত এ মামলার রায়ে আদালত দুটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন। সেগুলো হচ্ছে- সাহেদ ধুরন্ধর। যে গাড়ি থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে, সেটি যে তার তিনি স্বীকার করেননি। গাড়িটি পূবালী ব্যাংক থেকে ২০ লাখ টাকা লোন নিয়ে কেনা হয়েছিল। পূবালী ব্যাংক কর্মকর্তা সাক্ষ্য দেয়ার পর গাড়ি যে সাহেদের সেটি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
দ্বিতীয় পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, আমাদের সমাজে সাহেদের মতো ভদ্রবেশী অপরাধীদের জন্য এ রায়টি একটি বার্তা হয়ে থাকবে।
সাহেদের বিরুদ্ধে করোনাভাইরাসের টেস্ট নিয়ে জালিয়াতির বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগে তার বিরুদ্ধে সারা দেশে অর্ধশতাধিক মামলা হয়েছে। এর মধ্যে অস্ত্র মামলার রায়ই প্রথম ঘোষণা করা হলো। গত ২০ সেপ্টেম্বর মামলাটির যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে বিচারক এ দিন ঠিক করেন।
১৫ জুলাই সাহেদকে সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে গ্রেফতার করে র্যাব। পরে তাকে হেলিকপ্টারে করে সাতক্ষীরা থেকে ঢাকায় আনা হয়।
করোনা পরীক্ষার নামে ভুয়া রিপোর্টসহ বিভিন্ন প্রতারণার অভিযোগে করা মামলায় ১৬ জুলাই সাহেদকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। এর পর ১৯ জুলাই তাকে নিয়ে উত্তরার বাসার সামনে অভিযান চালায় ডিবি পুলিশ। সেখানে সাহেদের নিজস্ব সাদা প্রাইভেটকারে পাঁচ বোতল বিদেশি মদ, ১০ বোতল ফেনসিডিল, একটি পিস্তল এবং একটি গুলি উদ্ধার করা হয়। এর পর উত্তরা পশ্চিম থানায় অস্ত্র ও মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা করা হয়।
৩০ জুলাই ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে সাহেদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের মামলায় চার্জশিট দাখিল করা হয়। এর পর ২৭ আগস্ট তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
খুলনা গেজেট /এমএম