অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সাতক্ষীরা সীমান্তে নজরদারি বৃদ্ধি করেছে বিজিবি। এজন্য সীমান্তের অবৈধ পারাপার রুটগুলোতে বাড়ানো হয়েছে বিজিবির টহল। সর্বক্ষণিক নজরদারিতে রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ অবৈধ পারাপারের রুটগুলো।
সাতক্ষীরাস্থ বিজিবি ৩৩ ব্যাটালিয়নের আওতাধীন সীমান্ত এলাকায় বহিরাগত অপরিচিত ব্যক্তিদের ঘোরাফেরা না করতে এবং ভারতে অনুপ্রবেশের উদ্দেশ্যে বাড়িতে কাউকে আশ্রয় না দেওয়ার জন্য সীমান্ত এলাকায় জনপ্রতিনিধি ও গ্রামবাসীদের নিয়ে সচেতনামূলক সভা করে সকলকে সতর্ক করা হয়েছে।
বিজিবির নির্দেশনায় এ সম্পর্কে জনসতর্কতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) থেকে সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোর মসজিদ থেকে মাইকে প্রচার করা হচ্ছে।
এছাড়া সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোর প্রতিটি পাড়ায় ও মহল্লায় চালানো হয়েছে গণ-সচেতনমূলক অবৈধ অনুপ্রবেশ সম্পর্কীয় মাইক প্রচার।
সাতক্ষীরাস্থ বিজিবি ৩৩ ব্যাটেলিয়নের পক্ষ থেকে বিশেষ ঘোষণার মধ্য দিয়ে এজন সর্তকতা জারি করা হয়েছে। গত রোববার সারাদিনব্যাপী সদর উপজেলার ভোমরা ও লক্ষ্মীদাড়ি সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে স্থানীয়দের পক্ষ থেকে মাইকে প্রচারাভিযান চালানো হয়।
এসময় সীমান্তবর্তী বসবাসকারী লোকজনদেরকে অকারণে সীমান্ত বেড়িবাঁধের উপর চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। তবে অতীব জরুরী প্রয়োজনে সীমান্ত বেড়িবাধের পথ ব্যবহার করে যাতায়াতের মুখে সন্দেহ হলে বিজিবির প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে সংশ্লিষ্টকে।
মসজিদের মাইক প্রচার ঘোষণায় বলা হয়েছে, বহিরাগত কোন অপরিচিত ব্যক্তি ভারতে অনুপ্রবেশের সন্দেহজনক দেখলে তাকে বাড়িতে আশ্রয় দেবেন না। অসৎ উদ্দেশ্য প্রমাণিত হলে আশ্রয়দাতা অথবা পাচারকারীর বিরুদ্ধে বিজিবির পক্ষ থেকে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সীমান্ত এলাকায় দিনে-রাতে অযথা ঘোরাফেরা না করতেও বিশেষ ঘোষণায় বলা হয়। কোন অচেনা বা অপরিচিত ব্যক্তি সম্পর্কে সন্দেহ হলে নিকটবর্তী বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডারকে জানানোর অনুরোধ করা হয়। সাতক্ষীরাস্থ বিজিবি ৩৩ ব্যাটেলিয়নের অওতাধীন ভোমরা লক্ষ্মীদাঁড়ি, পদ্মশাঁখরা, গাজীপুর, ঘোনা, বৈকারী ও কাকডাঙ্গাসহ জেলার বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা গুলোতে জনসতর্কতামূলক এই প্রচার দেওয়া হয়।
এদিকে সীমান্তের একাধিক সূত্র জানায়, সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে সাতক্ষীরাস্থ বিজিবি ৩৩ ব্যাটলিয়ন কর্তৃপক্ষের এ ঘোষণা ছড়িয়ে পড়ায় সতর্কাবস্থায় রয়েছে মানবপাচারকারী দালালরা। বিজিবি সদস্যদের কঠোর নজরদারি আর টহল জোরদারে থমকে গেছে অবৈধ অনুপ্রবেশ। ফলে ধুড় পাচারকারী দালালরা পড়েছে বিপাকে। অনেকেই গা-ঢাকা দিয়ে আত্মগোপনে চলে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বিজিবি ভোমরা বিওপির কোম্পানি কমান্ডার আবজাল হোসেন সীমান্ত এলাকায় জনসতর্কতা বিষয়ক প্রচার অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সাতক্ষীরাস্থ বিজিবি ৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ আরিফুল হক পিবিজিএম, পিএসসি,জি বলেন, সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে আগে থেকেই জনবল বৃদ্ধি করা হয়েছে। একই সাথে কেউ যাতে অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপার না হতে পারে সেজন্য সীমান্ত এলাকার জনপ্রতিনিধি, মসজিদের ইমাম ও গ্রামবাসীদের নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় সচেতনামূলক সভা করা হয়েছে। পরে গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে মসজিদের মাইকে এ বিষয়ে প্রচার করা হচ্ছে।
খুলনা গেজেট/এনএম