কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেছেন, জেল জুলুম গুম খুন সাথে নিয়েই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি বর্তমান সরকার পতনের আন্দোলনে নেমেছে। তাই এদের পতন না হওয়া পর্যন্ত বিএনপির নেতাকর্মীরা ঘরে ফিরবে না। তিনি দমননীতি বন্ধ করে ২৭ তারিখের সমাবেশ সফল করতে সহযোগিতা করার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান; অন্যথায় জনরোষে পালাবার পথ খুঁজে পাবেন না বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় দলীয় কার্যালয়ে খুলনার মহাসমাবেশ সফল করতে ১২ উপ-কমিটির প্রস্তুতি সভায় সভাপতির বক্তব্যে মঞ্জু শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ সফল করতে পুলিশ প্রশাসনকে স্থান নির্ধারণের আহবান জানিয়ে বলেন, আমরা ৪টি স্থান নির্ধারণ করে আবেদন করেছি, শহীদ হাদিস পার্ক, মহারাজ চত্তর, শিববাড়ি মোড় বাবরি চত্তর এবং সোনালী ব্যাংক চত্তর। দুই দুইবার আবেদন করা হলেও এখনও কোন ধরনের অনুমোদন দেয়নি পুলিশ প্রশাসন।
সাবেক সংসদ সদস্য মঞ্জু বলেন, যে কোন মূল্যে সমাবেশ সফল করতে খুলনা বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রস্তুত। টালবাহানা না করে স্থান নির্ধারণ করে অনুমোদন দেয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান। দেশপ্রেমিক পুলিশ প্রশাসন কারো বা কোন গোষ্ঠির হতে পারে না। বাংলাদেশ পুলিশ সবদলের, নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি পুলিশের অভিযান বন্ধ, আটক ১৬ নেতাকর্মীর অবিলম্বে মুক্তি ও গ্রেফতার বন্ধের জন্য খুলনা পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান। এছাড়া ২৭ তারিখের সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে শেষ করতে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, ট্রাফিক ব্যবস্থা, পরিবহন প্রবেশ ও পাকিং এ সিটি কর্পোরেশনসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
সভা থেকে সমাবেশের প্রস্তুতির সর্বশেষ পরিস্থিতি দেশবাসিকে অবহিত করার জন্য বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রæয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় বিএনপি কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। এছাড়া বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার খুলনায় ১ লাখ লিফলেট বিতরণের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। সভায় দলের নেতা-কর্মিদের খুলনার মহাসমাবেশ সফল করতে নিরলসভাবে কাজ করার আহবান জানানো হয়। সভায় নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংসকারী সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে আগামীতে অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাধ্য করার জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এর নির্দেশনা অনুযায়ি সমাবেশ সফলের মাধ্যমে আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানানো হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সভাপতি এড. শফিকুল আলম মনা, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, ডা. গাজী আব্দুল হক, মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশাররফ হোসেন, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, এড. বজলুর রহমান, স ম আব্দুর রহমান, শেখ ইকবাল হোসেন, রেহেনা ঈসা, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, শেখ আব্দুর রশিদ, এড. শরিফুল ইসলাম জোয়ার্দার, মোল্যা খায়রুল ইসলাম, এড. মাসুম রশিদ, এড. তছলিমা খাতুন ছন্দা, আব্দুর রকিব মল্লিক, অধ্যাপক মনিরুল হক বাবুল, সিরাজুল হক নান্নু, আবু হোসেন বাবু, মো. মাহবুব কায়সার, কামরুজ্জামান টুকু, নজরুল ইসলাম বাবু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, মহিবুজ্জামান কচি, মেহেদী হাসান দিপু, আব্দুর রহিম বক্স দুদু, ইকবাল হোসেন খোকন, ইশতিয়াক উদ্দিন লাভলু, ওয়াহিদুর রহমান রানা, শেখ সাদী, ইউসুফ হারুন মজনু, সাজ্জাদ আহসান পরাগ, সাজ্জাদ হোসেন তোতন, কাজী মিজানুর রহমান, বিপ্লবুর রহমান কুদ্দুস, সুলতান মাহমুদ, একরামুল কবির মিল্টন, নিয়াজ আহমেদ তুহিন, মিজানুর রহমান মিলটন, শামসুজ্জামান চঞ্চল, শেখ ইমাম হোসেন, কাজী শফিকুল ইসলাম, মোল্যা এনামুল কবির, জাফরী নেওয়াজ চন্দন, আবুল বাশার, খায়রুল ইসলাম জনি, খন্দকার ফারুক হোসেন, আব্দুল মান্নান খান, রবিউল ইসলাম রবি, শামসুল বারী পান্না, রিয়াজুর রহমান, সাইমুন ইসলাম রাজ্জাক, ইকবাল হোসেন, ডা. ফারুক হোসেন, মোহাম্মদ আলী, তানভিরুল আযম রুম্মান, এনামুল হক সজল, মাওলানা আব্দুল গফ্ফার, এনামুল হক ডায়মন্ড, আনিসুর রহমান আরজু, মোল্যা কবির হোসেন, সিদ্দিকুর রহমান, জাবীর আলী, শেখ আবু সাঈদ, হাবিবুর রহমান কাজল, আনজিরা খাতুন, শরীফুল ইসলাম, আরিফুর রহমান, টিপু হাওলাদার, আবু তালেব, সাজ্জাদ হোসেন জিতু, কওসারী জাহান মঞ্জু, মুন্নি জামান, লিটন তালুকদার, এম এ হাসান, হারুন কাজী, মাসুম বিল্লাহ, হেলাল উদ্দিন, আল আমিন, নয়ন তানভির প্রমুখ। সূত্র : প্রেস রিলিজ।
খুলনা গেজেট/ টি আই