খুলনা, বাংলাদেশ | ৩রা শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৮ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৩০ রানে হারাল বাংলাদেশ
  গোপালগঞ্জে কারফিউ চলবে
  গোপালগঞ্জ এখন ফ্যাসিবাদের আশ্রয়কেন্দ্র: নাহিদ ইসলাম

কুয়েটের একাডেমিক কার্যক্রম অবিলম্বে চালুর দাবিতে অভিভাবকদের স্মারকলিপি

নিজস্ব প্রতিবেদক

টানা পাঁচ মাস বন্ধ কুয়েটের সকল একাডেমিক কার্যক্রম। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি উদ্বিগ্ন তাদের  অভিভাবকরাও। প্রতিষ্ঠানটির অচলাবস্থা নিরসন করে একাডেমিক কার্যক্রমসহ সব ধরনের কার্যক্রম সচল করে শিক্ষার্থীদের চরম ক্ষতি ও অভিভাবকদের হতাশমুক্ত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কুয়েটের গার্ডিয়ান ফোরাম ঢাকার পক্ষ থেকে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)’র চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।  বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বেলা ১১ টায় ঢাকা আগারগাঁও ইউজিসি ভবনের  চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ফোরামের পক্ষ থেকে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

অভিভাবক ফোরামের পক্ষে এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিকাশ কুমার শীল, মোঃ আনোয়ার হোসেন, হাসান জুলকারলীন, মোহাম্মদ  সফিকুল ইসলাম ও মোহাম্মদ  বাহার উদ্দিন।  স্মারকলিপিতে অভিভাবকরা উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের অন্যতম স্বনামধন্য উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) আজ পাঁচ মাসের অধিক সময়  ধরে অচল অবস্থার কারণে একাডেমিক কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রয়েছে। ফলে ব্যাপক সংখ্যক শিক্ষার্থীর জীবন ভীষণ হুমকির সম্মুখীন । আমরা অভিভাবকরা উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে জীবন যাপন করছি। এমনিতেই এদেশে প্রতি বছর ব্যাপক সংখ্যক শিক্ষার্থীরা হতাশা, দুশ্চিন্তা, বেকারত্ব, পাসেরপর অনিশ্চিত জীবন ও পারিবারিক চাপে আত্মহত্যা করে। করোনার সময় দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় আমরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। সন্তানদের নিয়ে ঘরের মধ্যে দুর্বিষহ বন্দীজীবন কাটিয়েছি।

সম্প্রতি জুলাই ‘২০২৪ গণঅভ্যুত্থানের সময় সারা দেশের ন্যায় কুয়েটও দীর্ঘ সময় বন্ধ ছিল। সেখানেও শ্রেণী কার্যক্রম বন্ধ ছিল। তারপর ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ‘র অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পর থেকে একটানা প্রায় পাঁচ মাসের অধিক কুয়েটের একাডেমিকসহ সকল কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়, যা এখনো চলমান। ফলে স্বনামধন্য ও ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানটি যেমন ধ্বংসের সম্মুখীন তেমনি এর শিক্ষার্থীরাও চরম হতাশ ও ক্ষতির সম্মুখীন।

শিক্ষার্থীদের জীবন থেকে এভাবে ছয় মাস সময় নষ্ট না হলে একজন শিক্ষার্থী ৬ মাস আগে জব মার্কেটে প্রবেশ করতে পারত।  এমতাবস্থায় স্বনামধন্য ও ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানটির অচলাবস্থা নিরসন করে একাডেমিকসহ সব ধরনের কার্যক্রম সচল করে শিক্ষার্থীদের চরম ক্ষতি ও অভিভাবকদের হতাশামুক্ত করতে প্রয়োজনে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্মারকলিপির মাধ্যমে অভিভাবকেরা অনুরোধ জানান।

খুলনা গেজেট/এসএস




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!