ঢাকা শহরের সব গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশ মুখে শনিবার (২৯ জুলাই) অবস্থান কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাদের এ কর্মসূচি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অবস্থান নিলে আপনাদের চলার পথও বন্ধ করে দেবো।
আওয়ামী লীগের দুই সহযোগী সংগঠন যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ এবং ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের সমাবেশে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
কাদের বলেন, বাংলাদেশের মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ, শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ অতন্দ্র প্রহরীর মতো পাহারা দেবে।
তিনি বলেন, ‘রাস্তা বন্ধ করবেন, আপনাদের চলার রাস্তা বন্ধ করে দেবো। চোখ রাঙাবেন না, দেশি-বিদেশি যারাই চোখ রাঙাবেন তাদের বলে দিচ্ছি, আমাদের শেকড় অনেক গভীরে। চোখ রাঙিয়ে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারবেন না। আপনারা (নেতাকর্মীদের) হতাশ হবেন না, কারও চোখ রাঙানোর পরোয়া বঙ্গবন্ধু কন্যা করেন না।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নেত্রী বলেছেন, বাবা, মা, ভাই সবাই চলে গেছেন, আমি চলে যাওয়ার আগে এই দেশের মানুষের জন্য বাবার স্বপ্নপূরণ করে যাবো, রক্ত দেবো। সবাই প্রস্তুত থাকেন, মাথা গরম করবেন না।’
‘কোথায় দাঁড়াবেন? আমরা ছেড়ে দেবো? আমরা সংঘাত চাই না, আমরা শান্তির জন্য এই সমাবেশ করছি। যত লাফালাফি তাফালিং করেন, ফখরুল সাহেব এই তারেক জিয়ার লাফালাফিতে কাজ হবে না। যতই তাফালিং করুন ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসন বহুদূরে। রাজনীতির মাঠে আন্দোলনে আওয়ামী লীগকে হারাতে পারবেন না। আন্দোলনে আওয়ামী লীগ চ্যাম্পিয়ন। আগুন নিয়ে আসবেন? আগুনে হাত পুড়ে দেবো, ভাঙচুর করতে এলে হাত ভেঙ্গে দেবো।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ক্ষমতা, তারেক রহমান, তারেক জিয়া লন্ডন থেকে ফরমায়েশ দিচ্ছে, এখানে ফখরুল আমির খসরুরা লাফালাফি করছে। তাদের কথায় নাকি জাতিসংঘ নির্বাচন পরিচালনা করবে। জনগণ শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়ে গণভবনে বসিয়েছে, জনগণ যতদিন চাইবে ততদিন শেখ হাসিনা গণভবনে থাকবেন। তারেক রহমান কিছুই করতে পারবে না।’
তিনি বলেন, ‘ক্ষমতা পেয়ে গেছে…কোথায় ক্ষমতা? এক দফা খাদে পড়ে গেছে। এই এক দফা দিয়ে কোনোদিন ক্ষমতার স্বাদ পূর্ণ করতে পারবেন না।’
কাদের বলেন, ‘তারা আইন মানে না, সুপ্রিম কোর্ট মানে না। কথায় কথায় তারেক রহমান সুপ্রিম কোর্টকে ধমক দেয়। মানুষ এই তারেক রহমানের বিচার চায়, তার সারা জীবনের দণ্ড হয়েছে।’
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে কাদের বলেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবে এসেছেন, সমাবেশ শেষে শান্তিপূর্ণভাবে চলে যাবেন। সংঘাত অ্যাভয়েড করতে হবে।’
খুলনা গেজেট/এসজেড