দেশের প্রায় সব গণমাধ্যমেই সোমবার রাতে শিরোনাম হয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে তার অবসরের বিষয়টি তাই আগেই নিশ্চিত হয়ে যান সমর্থকরা। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) অবসরের ঘোষণা দিবেন মাহমুদউল্লাহ। অবশেষে আনুষ্ঠানিক ঘোষণাও দিয়েছেন। লাল-সবুজের জার্সিতে আর টি-টোয়েন্টি খেলতে দেখা যাবে না অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারকে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে বসা সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকেই আলোচনায় ছিলেন তিনি। টাইগার এই ব্যাটারের ব্যাটিংটা ঠিক টি-টোয়েন্টি সুলভ নয় বলেও কম সমালোচনা হচ্ছিল না। যে কারণে ভারতের বিপক্ষে চলমান সিরিজের দলে তাকে দেখেও অনেকে অবাক হয়েছিলেন।
অবশেষে মঙ্গলবার দিল্লিতে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচের আগের দিন অবসরের ঘোষণা দিলেন এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। ১৪১ বছরের পুরনো অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামের বিখ্যাত প্রেস কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন তিনি। অবশ্য আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিলেও ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক লিগগুলোতে দেখা যাবে ৩৯ ছুঁইছুঁই এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে।
বাংলাদেশ দল এখন পর্যন্ত ১৭৭টি টি-টোয়েন্টি খেলেছে। এর মধ্যে ১৩৯টি ম্যাচে প্রতিনিধিত্ব করেছেন মাহমুদুল্লাহ। যা দেশের হয়ে সর্বোচ্চ। ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বরে নাইরোবিতে কেনিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয় মাহমুদউল্লাহর। ১১৭.৭৪ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন ২৩৯৫, গড় ২৩.৪৮।
দেশকে ৪৩টি টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্বও দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। অধিনায়ক হিসেবে জয় পেয়েছেন ১৬টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে, হার ২৬টিতে।
এর আগে ২০২১ সালের জুলাইয়ে টেস্ট থেকে অবসরে যান মাহমুদউল্লাহ। এবার টি-টোয়েন্টিও ছাড়লেন। বাকি রইলো কেবল ওয়ানডে।
খুলনা গেজেট/এমএম