অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ নিয়ে এ ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেফতার করা হল। গ্রেফতার তিন জন হলেন-এপিবিএনের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শাহজাহান, কনস্টেবল রাজীব ও আব্দুল্লাহ। ঘটনার দিন এ তিন জনই এপিবিএনের চেকপোস্টে দায়িত্ব পালন করেন।
এরআগে এ হত্যা মামলায় গ্রেফতার সাত জন হলেন-উপপরিদর্শক (এসআই) লিটন, কনস্টেবল কামাল হোসেন, সাফানুর করিম ও আবদুল্লাহ আল মামুন এবং সিনহা হত্যা মামলায় পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়ার মারিশবুনিয়ার নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দীন ও মোহাম্মদ আইয়াস।
গত ৩ জুলাই সিনহার সঙ্গে শিপ্রা দেবনাথ, সাহেদুল ইসলাম সিফাত ও তাসকিন ভ্রমণবিষয়ক ভিডিওচিত্র ধারণ করতে কক্সবাজার যান। ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মারিষবুনিয়া পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা। এসময় সিনহার সঙ্গে থাকা সিফাতকে আটক করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। পরে রিসোর্ট থেকে শিপ্রাকেও আটক করা হয়। দুজনই বর্তমানে জামিনে মুক্ত।
এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে দু’টি মামলা করা হয়। একটি মামলা হয় টেকনাফ থানায়। এ মামলায় সরকারি কাজে বাধা ও গুলিতে নিহত হওয়ার অভিযোগ আনা হয়। সেই মামলার আসামি করা হয় সিফাতকে। এছাড়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে রামু থানায় দায়ের করা মাদক মামলায় আসামি করা হয় শিপ্রা দেবনাথকে।
এদিকে, ৫ আগস্ট সিনহার বড় বোন বাদী হয়ে একই আদালতে টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলী, থানার এসআই নন্দলাল রক্ষিতসহ নয় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। এছাড়া বাদীর আবেদন মঞ্জুর করে সবগুলো মামলা তদন্তের দায়িত্ব র্যাবকে দেন বিচারক।
খুলনা গেজেট/এআইএন