খুলনা, বাংলাদেশ | ২৯ কার্তিক, ১৪৩১ | ১৪ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  চার উপদেষ্টার আশ্বাসে ভোর ৪টায় হাসপাতালে ফিরলেন আহতরা
অনেক নাটকীয়তার পর

অবশেষে সোনিয়ার হাতেই কংগ্রেসের নেতৃত্ব

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

নানান নাটকীয়তার পর ফের সোনিয়া গান্ধীর হাতেই থাকছে কংগ্রেসের নেতৃত্ব। ওয়ার্কিং কমিটির অনুরোধ মেনে অন্তর্বর্তী সভাপতি হিসেবে কাজ চালিয়ে যেতে রাজি হয়েছেন তিনি।

এর আগে কংগ্রেসে সংস্কারের দাবি জানিয়ে অন্তর্বতী প্রধান সোনিয়া গান্ধীর কাছে একটি চিঠি লিখেছিলেন দলটির ২৩ শীর্ষ নেতা। চিঠিতে দলের বিভিন্ন ধরনের সংকটের কথা তুলে ধরেন তারা। নেতারা দাবি করেন, আসন্ন একাধিক নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে সংগঠনকে ঢেলে সাজাতে হবে। মাঠে-ময়দানে নেমে কাজ করতে পারেন এমন ফুলটাইম নেতা বাছতে হবে। তাছাড়া দলের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে ভোটাভুটির মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচনের পরামর্শও দেন এই নেতারা।

সোমবার বেলা ১১টা থেকে শুরু হয় কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক। এতে দলীয় প্রধানের পদ নিয়ে আলোচনার কথা ছিল। বৈঠকের শুরুতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং জানিয়ে দেন, সোনিয়ার নেতৃত্বের প্রতি দলের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। একই কথা বলেন এ কে অ্যান্টনিও। কিন্তু এ সময় সাবেক সভাপতি রাহুলের একটি মন্তব্য ঘিরে বৈঠক উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

দলের নেতৃত্বে পরিবর্তন চেয়ে ২৩ নেতার চিঠি প্রসঙ্গে রাহুল গান্ধী বলেন, যে সময় সোনিয়া অসুস্থ, যে সময় কংগ্রেস রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশের সরকার বাঁচানোর জন্য লড়াই করছে, তখন কেন এই চিঠি লেখা হল। যারা চিঠি লিখেছে, তাদের সঙ্গে নিশ্চয়ই বিজেপির যোগাযোগ আছে।

রাহুলের মন্তব্যের প্রতিবাদে গুলাম নবি আজাদ বলেন, বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ প্রমাণিত হলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব। এমনকি রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা এবং ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যপদ থেকেও ইস্তফা দেবেন বলে জানান তিনি।

আরেক নেতা কপিল সিব্বল বৈঠক চলাকালীনই টুইটারে দলের অন্তর্বিরোধের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন। লেখেন, ‘রাহুল গান্ধী বলছেন আমাদের সঙ্গে বিজেপির আঁতাত রয়েছে। রাজস্থান হাইকোর্টে কংগ্রেসকে রক্ষায় সাফল্য পেয়েছি। মণিপুরে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে দলের লড়াইয়ে সঙ্গ দিয়েছি। গত ৩০ বছর বিজেপির সমর্থনে একটা কথাও বলিনি। তবুও বিজেপির সঙ্গে আমাদের আঁতাত!’ কিছুক্ষণ পরেই অবশ্য টুইটটি তুলে নেন তিনি।

এদিকে ২৩ নেতার চিঠির খবর প্রকাশ্যে আসার পর কংগ্রেসের অন্দরে অনেকটা বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো অবস্থা। তবে রোববার চিঠির কথা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই গান্ধী পরিবারের প্রতি নিজেদের আনুগত্য প্রকাশ করেছেন কংগ্রেসের প্রায় সব স্তরের নেতা। এছাড়া ভারতের চার কংগ্রেস শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যে প্রকাশ্যে রাহুল-সোনিয়াকে সমর্থন করেছেন।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!