নতুন মৌসুম শুরুর প্রস্তুতি পর্বে খেলোয়াড়রা অনুশীলনে ফিরবেন-এ আর নতুন কি। তবে সাম্প্রতিক ঘটনার প্রেক্ষিতে লিওনেল মেসির এবারের অনুশীলনে যোগ দেওয়াটা বড় খবরই বটে। দলের সঙ্গে ১০ দিনের টানাপোড়েন, সম্পর্কের অবনতি এবং সবশেষে অনিচ্ছাসত্ত্বেও থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত জানানোর পর সোমবার অনুশীলনে দলের সঙ্গে যোগ দেন বার্সেলোনা তারকা।
গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, রোববার করোনাভাইরাস পরীক্ষা করানো হয় মেসির। ফল নেগেটিভ আসার সাপেক্ষে পরদিন স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে পাঁচটায় ক্লাবের জুয়ান গাম্পের ট্রেনিং গ্রাউন্ডে আসার কথা ছিল তার। তবে মুন্দো দেপোর্তিভো তাদের প্রতিবেদনে জানায়, বিকেল ৩টা ৫৭ মিনিটে ক্লাব ফ্যাসিলিটিজে চলে আসেন বার্সেলোনার রেকর্ড গোলদাতা।
সূচি অনুযায়ী, আট দিন আগে দলের সবার কোভিড-১৯ পরীক্ষা করায় বার্সেলোনা। পর দিন থেকে শুরু হয় অনুশীলন। তবে ক্লাব ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই দলের সঙ্গে ছিলেন না মেসি।
বার্সেলোনা-মেসি টানাপোড়েনের শুরু গত ২৫ অগাস্ট। ফ্যাক্স বার্তায় চুক্তির একটি ধারা কার্যকর করে কাম্প নউ ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন রেকর্ড ছয়বারের বর্ষসেরা ফুটবলার। তবে ক্লাবের দাবি ছিল, ওই ধারা কার্যকর করার মেয়াদ গত ১০ জুনে শেষ হয়ে গেছে। ফলে চুক্তি অনুযায়ী হয় তাকে থাকতে হবে ২০২০-২১ মৌসুমের শেষ পর্যন্ত, নয়তো পরিশোধ করতে হবে রিলিজ ক্লজের পুরো ৭০ কোটি ইউরো।
এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয় অচলাবস্থা। বিষয়টি নিয়ে বার্সেলোনা সভাপতি জোজেপ মারিয়া বার্তোমেউয়ের সঙ্গে আলোচনার জন্য আর্জেন্টিনা থেকে স্পেন উড়ে আসেন মেসির বাবা ও এজেন্ট হোর্হে মেসি। তাদের আলোচনায়ও কোনো সমাধান মেলেনি। দুই পক্ষই অনড় থাকে নিজেদের অবস্থানে।
অবশেষে গত শুক্রবার মেসি থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত জানান। তবে সিদ্ধান্তটা যে একরকম বাধ্য হয়ে, অনিচ্ছায় নিয়েছেন তা লুকাননি রেকর্ড ছয়বারের বর্ষসেরা ফুটবলার। জানান, ক্লাবের সঙ্গে আইনী লড়াইয়ে যেতে চাননি বলেই মন বদল করেছেন তিনি।
পাল্টে যাওয়া পরিস্থিতিতে ২০ বছরের পুরনো ঠিকানায় নতুন করে কিভাবে ও কতটুকু মানিয়ে নিতে পারেন মেসি, তা ভবিষ্যতই বলে দেবে। নতুন ম্যানেজার রোনাল্ড কুমানের কোচিংয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর অভিযান শুরু হচ্ছে বার্সেলোনার, নতুন চ্যালেঞ্জ শুরু মেসিরও।
খুলনা গেজেট/এএমআর