আগেই মিলেছিল আভাস। যে কোনো মুহূর্তে গ্রেফতার হতে পারেন অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী। অবশেষে সুশান্ত হত্যা মামলায় নতুন মোড় এনে মাদককাণ্ডে গ্রেফতার হলেন বাঙালি এই অভিনেত্রী। তিনি সুশান্তের সর্বশেষ প্রেমিকা ছিলেন।
রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) থেকে রিয়াকে জেরা শুরু করে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)। রবি, সোম পর পর দু’দিন জেরার পর, মঙ্গলবারও (৮ সেপ্টেম্বর) ডাকা হয়েছিল রিয়াকে। সেখানে কিছুক্ষণ জেরার পর দুপুরে রিয়াকে গ্রেফতার করে এনসিবি। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তার ডাক্তারি পরীক্ষা হবে বলে নিশ্চিত করেছে মুম্বাই মিরর।
এদিকে পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার দাবি করেছে, মাদক যোগ নিয়ে রোববার থেকে রিয়াকে টানা জেরা করছিল এনসিবি। ভাই শৌভিকের মুখোমুখি বসিয়ে সোমবার জেরা করা হয় ছয় ঘণ্টা। বারবার প্রশ্নের মুখে পড়ে গতকাল এনসিবির সামনে রিয়া বলেন, ‘আমি যা করেছি, তা সবই সুশান্তের জন্য।’
তারপর মঙ্গলবার আবারও রিয়াকে জেরার জন্য ডেকে পাঠায় এনসিবি। সংস্থাটির সদর দফতরে জেরা শেষে দুপুরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এনসিবির ডেপুটি ডিরেক্টর কেপিএস মালহোত্র এ দিন সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘রিয়াকে গ্রেফতার করে হেফাজতে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।’
প্রসঙ্গত, গত ১৪ জুন মুম্বাইয়ের বান্দ্রার বাড়ি থেকে সুশান্ত সিং রাজপুতের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। শুরুতে মুম্বাই পুলিশের হাতেই তদন্তভার ছিল। পরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তা কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআইয়ের হাতে ওঠে। সেই মামলায় রিয়ার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকে মাদকযোগের কথা উঠে এলে, আলাদা করে তদন্ত শুরু করে এনসিবি।
তা নিয়ে গত সপ্তাহে দফায় দফায় জেরার পর শুক্রবার রিয়ার ভাই শৌভিক ও সুশান্তের প্রাক্তন ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হন সুশান্তের বাড়ির কেয়ার টেকার দীপেশও।
খুলনা গেজেট / এআর