খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুকৃবি) অবশেষে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চালু হয়েছে। আজ শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টায় নগরীর দৌলতপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো: শহীদুর রহমান খান জুম এ্যাপের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেন।
দেশে করোনার প্রকপ যখন কমতে শুরু করেছে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ফের চালু করতে যখন সরকার চিন্তা ভাবনা করছে ঠিক সেই মুহুর্তে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে অনলাইন কার্যক্রম শুরু করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষের দাবি, শিক্ষক নিয়োগ হতে বিলম্ব হওয়ায় অনলাইন ক্লাস কার্যক্রম শুরু হতে সময় লেগেছে।
এদিকে গত ৬মাস প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ভেঙ্গে পড়ে শিক্ষা ব্যবস্থা। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মান অক্ষুণ্ণ রাখতে এবং স্বাস্থ্য বিধি মেনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) অনেক আগেই শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার উদ্যোগ নেয়। সেক্ষেত্রে বেশ পিছিয়ে পড়েছে খুকৃবি।
জানা যায়, ১ জুলাই থেকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ক্লাস ও পরীক্ষা নেওয়ার উদ্যোগ নেন। পাশপাশি খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গেল ১২ জুলাই থেকে অনলাইনে ক্লাস কার্যক্রম শুরু করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি একাধিক কতৃপক্ষ জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের সেশন জট যেন না হয় সে বিষয়টি খেয়াল রেখেই অনলাইন কার্যক্রম চালু করা হয়। পাশাপাশি করোনার কারণে শিক্ষার্থীরা যেন লেখাপড়ার সাথে সম্পৃক্ত থাকে সেই বিষয়টিও গুরুত্বের সাথে দেখা হয়।
এদিকে খুলনার সর্বশেষ অনুমোদিত খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনার শুরুতেই দাপ্তরিক কার্যক্রম ও ক্লাস পরিচালনা অবহেলারে অভিযোগ রয়েছে। যখন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অফিস কার্যক্রম করেছেন সেই মুহূর্তে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎপরতা চোখে পড়েনি। শুক্রবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর বিডিরেনের সহযোগিতায় এবং জুম লিংকের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। পাঁচটি অনুষদের ১৮০ জন শিক্ষার্থী এসময় সংযুক্ত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ডা: খন্দকার মাজহারুল আনোয়ার, সহকারী অধ্যাপক ড. এম এ হান্নান, সহকারী অধ্যাপক ডা. মো: আশিকুল আলম প্রমুখ।
বিলম্বে অনলাইন চালু করার বিষয় জানতে চাইলে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো: শহীদুর রহমান খান জানান, শিক্ষক নিয়োগে বিলম্ব হওয়ায় অনলাইন কার্যক্রমে কিছুটা সময় লেগেছে। তাছাড়া করোনার প্রকপ এখনও কমেনি। আর কবে নাগাদ এটি শেষ হবে তা অজানা। তিনি বলেন, আমরা ইচ্ছা করলে চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকদের নিয়ে অনলাইন ক্লাস চালু করতে পারতাম তবে শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম চলমান থাকায় আমরা কিছুটা সময় নিয়েছি। তিনি আরও বলেন, আমাদের নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকরা অনেক মেধাবীে এবং স্মার্ট। যার ফলে অনলাইন শুধু নয় সকল ক্ষেত্রেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অনেক সুফল পাবেন।
খুলনা গেজেট/নাফি