বহুল প্রতীক্ষিত যুদ্ধবিমান এফ-১৬ এর প্রথম ব্যাচ ইউক্রেনে পৌঁছেছে। এর ফলে রাশিয়ার মুহুর্মুহু ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ভেঙে যাওয়া ইউক্রেনীয় বিমান বাহিনী আবারও ঘুরে দাঁড়নোর সুযোগ পাবে। লিথুয়ানিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং যুক্তরাষ্ট্রের একজন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। খবর আলজাজিরার।
দীর্ঘ দিন ধরে এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের জন্য পশ্চিমাদের দিকে তাকিয়ে ছিল ইউক্রেন। মার্কিন অস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান লকহিড মার্টিনের তৈরি এফ-১৬ ধ্বংসাত্মক ক্ষমতার কারণে বিশ্বজুড়ে সমাদৃত। 20 মিমি কামান দিয়ে সজ্জিত এই যুদ্ধবিমান একই সঙ্গে বোমা, রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে পারে।
বুধবার (৩১ আগস্ট) এক এক্সাবার্তায় লিথুয়ানিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী গ্যাব্রিলিয়াস ল্যান্ডসবার্গিস লিখেছেন, এফ-১৬ এখন ইউক্রেনে আরেকটি অসম্ভব জিনিস সম্পূর্ণরূপে সম্ভব হয়ে উঠেছে।
একজন মার্কিন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, ইউক্রেনে এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের চালান সরবরাহ সম্পন্ন হয়েছে। তবে বিষয়টি এখনো নিশ্চিত করেনি কিয়েভ সরকার।
আধুনিক যুদ্দবিমান এফ-১৬ পেতে মাসের পর মাস পশ্চিমা মিত্রদের কাছে ধরনা দিয়ে আসছে জেলেনস্কি সরকার। তাদের দাবি, রাশিয়ার ছোড়া একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র মোকাবিলায় এই যুদ্ধবিমান তাদের অত্যন্ত প্রয়োজন। তবে ইউক্রেনকে এই যুদ্ধবিমান দিলে রাশিয়ার সঙ্গে চলমান উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে এমন শঙ্কায় রয়ে সয়ে পদক্ষেপ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমারা। তবে দেরিতে হলেও অবশেষে ইউক্রেনে এসে পৌঁছাল এফ-১৬।
তাছাড়া এফ-১৬ উড়াতে ইউক্রেনীয় পাইলটদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এরই মধ্যে প্রথম ব্যাচের পাইলটদের প্রশিক্ষণ কোর্স সম্পন্ন হয়ে গেছে।
খুলনা গেজেট/এএজে