বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে আন্দোলনকারীদের হামলায় সাইফুল ইসলাম আলিফ নামে চট্টগ্রামের এক আইনজীবী নিহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এক পোস্ট দিয়ে আইনজীবী হত্যার ঘটনায় অপরাধীদের ধরার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যথেষ্ট বলে উল্লেখ করেছেন।
ফারুকী পোস্ট দিয়ে লিখেছেন, ‘দেশের ভেতরে এবং বাইরে বসে যারা বীণ বাজাচ্ছে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য, তাদের কেবল হাসিনার পলায়নের দৃশ্যটা মনে করতে বলবো।’
অপরাধীদের ধরার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যথেষ্ট উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘একই সাথে সবার প্রতি আহ্বান, আমরা যেন একটু সংযমের পরিচয় দেই। আজকে চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার ঘটনায় অপরাধীদের ধরার জন্য আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যথেষ্ট। আসুন আমরা জাস্ট সজাগ থাকি, এক থাকি।’
জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে ইসকনের অনুসারীরা চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা শুরু করলে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ তাদের বাধা দেন। এরপর তাকে তুলে নিয়ে আদালতের প্রধান ফটকের বিপরীতে রঙ্গম টাওয়ারের সামনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সাইফুলকে কুপিয়ে আহত করে ইসকন সদস্যরা। গুরুতর আহত অবস্থায় সাইফুলকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চমেক হাসপাতালের নতুন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন ঢাকা পোস্টকে বলেন, চট্টগ্রাম আদালতে সংঘর্ষের ঘটনায় ৭-৮ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে।
অ্যাডভোকেট মোক্তার উদ্দিন সাগর নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, আমার চোখের সামনে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে হত্যা করেছে আন্দোলনকারীদের একটি দল।
নিহত সাইফুল ইসলাম আলিফ চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি এলাকার বাসিন্দা। তার বাবার নাম জালাল উদ্দিন। সাইফুল ইসলাম ২০১৮ সালে জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য হন। পরে তিনি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে নিবন্ধন পান। সম্প্রতি তিনি চট্টগ্রাম আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। তিনি চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন।
খুলনা গেজেট/এনএম