সম্পদ আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দার প্রতি এক বিরাট নেয়ামত। মানবজীবনে সম্পদের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নানা প্রয়োজন পূরণের জন্য সম্পদ আবশ্যক। কুরআনুল কারিমে আল্লাহ তাআলা সম্পদকে জীবনের অবলম্বন হিসাবে আখ্যা দিয়েছেন।
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,
‘আর যে সম্পদকে আল্লাহ তোমাদের জীবন-যাত্রার অবলম্বন করেছেন, তা অর্বাচীনদের হাতে তুলে দিও না। বরং তা থেকে তাদের খাওয়াও, পরাও এবং তাদের সান্ত্বনার বাণী শোনাও।’
[আন-নিসা : ৫]
সুতরাং সম্পদ খরচ করার ব্যাপারে আমাদের সতর্ক হতে হবে। কোনোরূপ অপচয়-অপব্যয় যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। অপচয়কারীর ব্যাপারে কুরআন ও হাদিসে বিভিন্ন সতর্কবাণী এসেছে। কুরআনুল কারিমে অপচয়কারীকে বলা হয়েছে শয়তানের ভাই।
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন ,
‘যারা অপব্যয় করে তারা শয়তানের ভাই, আর শয়তান তার প্রভুর প্রতি অতিশয় অকৃতজ্ঞ!’
[বনি ইসরাঈল : ২৭]
অপচয়কারীকে আল্লাহ তাআলা পছন্দ করেন না।
এক হাদিসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘আল্লাহ তোমাদের জন্যে তিনটি বিষয়কে অপছন্দ করেন। (১) অনর্থক কথা বলা, (২) সম্পদ নষ্ট করা এবং (৩) অধিক প্রশ্ন করা’। [সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৪৭৭]
সম্পদের যথার্থ ব্যবহার যদি করা না হয় তাহলে আল্লাহ তাআলার দেওয়া নেয়ামতের প্রতি অকৃতজ্ঞতা হবে। আর অকৃতজ্ঞদের ওপর আল্লাহর শাস্তি অনিবার্য।
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন ,
‘তোমরা যদি (আমার নিআমতের) কৃতজ্ঞতা আদায় করো তাহলে আমি অবশ্যই তোমাদের আরও বাড়িয়ে দেবো। আর যদি অকৃতজ্ঞ হও তাহলে (জেনে রেখো), আমার শাস্তি অবশ্যই অত্যন্ত কঠিন’।
[সূরা ইবরাহীম]
এমতাবস্থায় আমাদের সকলেই সম্পদের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা ও অপচয় রোধে সচেতন হওয়া এবং সকলে মিতব্যয়ী হওয়া একান্ত জরুরী। তাহলে আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা ও সামাজিক অবকাঠামো আরো উন্নত হবে।