দেশের সিভিল সার্জনদের উদ্দেশ্যে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বিশ্বের অন্য অনেক দেশ তাদের নাগরিকদের জন্য নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে পারলে আমরা কেন পারবো না। আমাদের পারতে হবে।
সোমবার দুইদিন ব্যাপী সিভিল সার্জন সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জনগণ আপনাদের দিকে বিশেষভাবে তাকিয়ে আছে। আমাদের অনেক ঘাটতি আছে, অর্থ ও লোকবল। যন্ত্রপাতিরও ঘাটতি আছে। তবে ছাত্রজনতা আমাদের একটি সাহস দিয়েছে, এটা কাজে লাগালে ২৫ ভাগ উন্নতি সম্ভব। আমাদের প্রত্যেককে নিজ নিজ দায়িত্ব বিষয়ে সচেতন হলে এটা সম্ভব।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আয়োজিত সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ৬৪ জেলার সিভিল সার্জনরা ছাড়াও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও উর্ধতন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক ও উন্নয়ন সহযোগী সংগঠন ও সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
চিকিৎসাসেবায় আন্তরিক হওয়ার পরামর্শ দিয়ে সিভিল সার্জনদের উদ্দেশ্যে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জনগণ একটি পরিবর্তন চেয়েছে বলেই দেশে পরিবর্তন এসেছে। তারা আগের আমলকে মেনে নেয়নি বলেই পরিবর্তন এসেছে। আমাদের ওপর দায়িত্ব এসেছে। জনগণের চাওয়া অনেক বেশি। জনগণের এ চাওয়াকে মর্যাদা দিয়ে সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন করেছি। তখনই আমি জানতে চাইলাম, সিভিল সার্জন ও অন্য কমিউনিটিকে নিয়েও এমন সম্মেলন করতে পারি কি না— আমরা একটা মিলিত হলে অনেক আইডিয়া শেয়ার করা যাবে। এ ধারনা থেকে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। তিনি চিকিৎসকদের নতুন বাংলাদেশ গড়তে আরও মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান।
দেশের হাসপাতাল ও সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আনসারের পাশাপাশি স্বাস্থ্য পুলিশের দাবি করেছেন সিভিল সার্জনরা। পাশাপাশি ভুয়া ডাক্তার, প্রতারক ও ভেজালের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার ক্ষমতা চেয়েছেন তারা।
এর আগে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সিভিল সার্জন সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ডা. নুরজাহান বেগম সভাপতিত্ব করেন। স্বাগত বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সাইদুর রহমান।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান।
খুলনা গেজেট/এনএম