খুলনা জেলার রুপসার শিরগাতী খালপাড় এলাকার অহিদুল ইসলামের স্ত্রী ৮ মাসের অন্তসত্বা কুলসুম খাতুন (২৪) গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে স্বামীর উপর অভিমান করে নিজ ঘরের আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
নিহতের স্বামী অহিদুল ইসলাম বলেন, ‘৫ বছরের শিশু কন্যা হাফসাকে নিয়ে রাতে ঘুমিয়ে পড়ি শনিবার সকালে স্ত্রীকে বিছানায় না পেয়ে অনেক খুঁজাখুঁজি করার পর দেখতে পাই আমার স্ত্রী কুলসুম ঘরের আড়ার সাথে ঝুলছে। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে পরিবারের সহযোগীতায় স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে যাই। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।’
এদিকে নিহতের পিতা খানজাহান আলী থানার দক্ষিণ শিরোমণি এলাকার শামসু গাজী জানান, আমার মেয়ে ৮ মাসের অন্তঃসত্বা থাকা সত্বেও আমার জামাই অহিদুল গত ২৫ আগষ্ট মেয়ের অজান্তে দ্বিতীয় বিয়ে করে, এই নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কলহের সৃষ্টি হলে কুলসুম আমার বাড়িতে চলে আসে। পূনরায় স্বামীর অনুরোধে গতকাল শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে স্বামীর কাছে ফিরে যায়। পরের দিন সকালে (শনিবার) জামাই অহিদুল আমাকে ফোন করে জানায় আমার মেয়ে কুলসুম আত্মহত্যা করেছে। আমার ধারণা আমার মেয়েকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।’
খবর পেয়ে আইচগাতী ফাড়ীর ইনচার্জ এসএম সেকেন্দার ঘটনা স্থলে যেয়ে কুলসুমের সুরতহাল শেষে খুমেক হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়। ময়না তদন্ত শেষে তার পিতা শামসু গাজীর নিকট মরদেহ হস্তান্তর করেন।
এরপর রুপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জাকির হোসেনের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ময়না তদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত হত্যা না আত্মহত্যা তা বলা যাবে না। এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার এশাবাদ শিরোমণি কেন্দ্রীয় কবরস্থানে জানাযা শেষে দাফন করা হয়।
খুলনা গেজেট/এনএম