গত ১৮ দিন ধরে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা ‘অনেকটা ভালো’ বলে জানিয়েছে বিএনপি ও চিকিৎসকরা। দলটির নেতারা বলছেন, খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থা নিয়ে দলের মধ্যে উদ্বেগ নেই। তিনি এখন আগের চাইতে অনেকটা ভালো আছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, গতকাল রাতে ম্যাডামের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়েছিলাম। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন— ম্যাডাম অনেকটা ভালো আছেন।
বিএনপির একজন চিকিৎসক নেতা জানান, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এখন আগের তুলনায় ভালো হলেও কবে বাসায় ফিরবেন সেটা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। আসলে চিকিৎসকরা ম্যাডামকে নিয়ে কোনো ধরনের ঝুঁকি নিতে চান না। যার কারণে তাকে আরও কিছুদিন হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেওয়ার পক্ষে তারা। এই কারণে কবে নাগাদ তাকে বাসায় নিয়ে আসা হবে সেটা ঠিক নেই।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া ইউংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে বলেন, ম্যাডাম আগের মতো সিসিইউ সুবিধাসম্বলিত কেবিনে মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন আছেন। দলের পক্ষ থেকে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিয়মিত ম্যাডামের শারীরিক অবস্থার খোঁজ রাখছেন।
গত ৯ জুলাই হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়লে রাত সাড়ে ৩টার দিকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় খালেদা জিয়াকে। ৭৯ বছর বয়সী সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী লিভার সিরোসিস, আর্থরাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ নানা রোগে ভুগছেন।
উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে তার পরিবার ও দল বিএনপির পক্ষ থেকে সরকারের কাছে আবেদন জানানো হচ্ছে।
দুদকের মামলায় কারাদণ্ড পাওয়া বিএনপি চেয়ারপারসনকে ২০২০ সালে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া হয়। এরপর থেকে তিনি হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বাধীন মেডিকেল বোর্ডের অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে তার হার্টে রিং এবং পেস-মেকার বসানো হয়েছে। এ ছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের তিনজন চিকিৎসক ঢাকায় এসে খালেদা জিয়ার একটি অপারেশন করেন।
খুলনা গেজেট/এএজে