খুলনা, বাংলাদেশ | ২৪ ভাদ্র, ১৪৩১ | ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরো তিনজনের মৃত্যু হয়েছে
  চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে শিপইয়ার্ডে জাহাজ কাটার সময় বিস্ফোরণ, দগ্ধ ১২
  নিরবচ্ছিন্নভাবে চলছে সব তৈরি পোশাক কারখানা, কাজে ফিরেছেন পোশাক শ্রমিকরা; শিল্পাঞ্চলে নিরাপত্তা জোরদার

অনূর্ধ্ব-১৯ নারী সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের দুর্দান্ত শুরু

ক্রীড়া ডেস্ক

অনূর্ধ্ব-১৯ নারী সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে দুর্দান্ত শুরু করেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। নতুন কোচ আর তুলনামূলক অনভিজ্ঞ দল নিয়ে শিরোপা ধরে রাখার মিশনে উদ্বোধনী দিনেই তারা পেয়েছিল নেপালকে। সেখানে সফল বাংলাদেশের মেয়েরা।

শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে হওয়া ম্যাচটিতে নেপালকে তারা হারায় ৩-১ গোলে। বাংলাদেশের হয়ে মোসাম্মাৎ সাগরিকা দুটি ও মুনকি আক্তার একটি গোল করেন। নেপালের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন সুকরিয়া মিয়া।

ম্যাচের শুরু থেকেই নেপালের ওপর চাপ তৈরি করে রাখে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ দল। খেলার ৫ম মিনিটেই গোলের সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। গোলটা প্রায় পেয়েই যাচ্ছিল, কিন্তু স্বপ্না রানির পাস থেকে পূজা দাস ফাঁকায় বল পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন।

এর কিছুক্ষণ পরই গোলের সুযোগ নষ্ট করেন ম্যাচে জোড়া গোল করা সাগরিকা। ১০ মিনিটের মাথায় আফিদার একটি শট বারে লেগে ফিরে আসে। ১৪ মিনিটে পূজা দাসের বাঁকানো শট অল্পের জন্য ক্রসবারের উপর দিয়ে বাইরে চলে যায়। ম্যাচের ২০তম মিনিটে পূজা দাসের আরও একটি শট অল্পের জন্য বারের ওপর দিয়ে চলে যায়।

ম্যাচের ৩৯তম মিনিটে ইতি একটি সহজ সুযোগ নষ্ট করার পর বাংলাদেশের হতাশা কাটান সাগরিকা। একটি সংঘবদ্ধ আক্রমণ থেকে বল ধরে সাগরিকা নেপালের গোলরক্ষক সুজাতা তামাংকে পরাস্ত করেন। এতে লিড পায় লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। প্রথম গোলের তিন মিনিট পরই স্কোরলাইন ২-০ করেন মুনকি। ম্যাচের ৪২তম মিনিটে বল বিপদমুক্ত করতে গিয়ে ইতি খাতুনের পায়ে বল তুলে দেন নেপাল গোলরক্ষক। নেপালের গোলপোস্ট তখন ফাঁকা। ইতির বাড়ানো বল পেয়ে যান বক্সে থাকা মুনকির দিকে। ঠান্ডা মাথায় চিপ শটে নেপাল গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে বল পোস্টে পাঠান মুনকি।

বিরতির আগে বাংলাদেশ ৩-০ গোলের লিড নিতে পারত। যোগ করা সময়ে সাগরিকাকে বক্সে ফেলে দেন নেপালের সিমরান রায়, রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। পেনাল্টি নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক আফিদা। কিন্তু সেই শট আটকে যায় ক্রসবারে। ফিরতি বলে সাগরিকা শট নিলেও হার মানানো যায়নি নেপাল গোলরক্ষককে।

দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশ গোলরক্ষক স্বর্ণা রানীর ভুলে ব্যবধান কমায় নেপাল। ৫৪তম মিনিটে বাংলাদেশের বক্সে বল বাড়ান নেপাল অধিনায়ক সারাহ বজ্রচারিয়া। স্বর্ণা সামনে এগিয়ে আসেন বল গ্লাভসে নেয়ার জন্য। বল তার গ্লাভসে যাওয়ার আগেই আচমকা টোকায় জালে জড়িয়ে দেন সুকরিয়া মিয়া।

এরপর ম্যাচে নেপালকে সমতায় ফেরার সুযোগ না দিয়ে লাল-সবুজের জার্সিধারীদের তৃতীয়বারের মতো এগিয়ে দেন সাগরিকা। ৫৭ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে ইতির লম্বা করে বাড়ানো বল গিয়ে পড়ে সাগরিকার পায়ে। গায়ে লেগে থাকা নেপালি ডিফেন্ডার মায়া মাসকের বাধা পেরিয়ে, গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোল তুলে নেন সাগরিকা।

প্রথম ম্যাচেই হ্যাটট্রিকের দেখা পেতে পারতেন সাগরিকা। ৮৯তম মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে একাই বক্সে ঢুকে পড়েন তিনি। বক্সে তখন ফাঁকায় দাঁড়িয়ে বদলি খেলোয়াড় নবীরন খাতুন। নবীরনকে সুযোগ না দিয়ে নিজেই কোনাকুনি শট নেন সাগরিকা, কিন্তু নেপাল গোলরক্ষকের গায়ে লেগে সেই শট প্রতিহত হলে হ্যাটট্রিক পাওয়া হয়নি তার।

খুলনা গেজেট/কেডি




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!