খুলনার মোট ২২টি অনুমোদনহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আজ সোমবার অভিযান চালিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এসময় লাইসেন্স ও আবেদন না থাকায় নগরীর চারটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের চিঠি দেয় খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এছাড়া খুলনা সিভিল সার্জন দপ্তর থেকে ৯ উপজেলার ১৮টি ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টারের বৈধ কাগজপত্র নিয়ে দেখা করার নির্দেশ দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
খুলনা বিভাগীয় পরিচালক ডা: মো: মঞ্জুরুল মুর্শিদ বলেন, খুলনা মহানগরীসহ বিভিন্ন জেলা উপজেলায় অবৈধভাবে ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক পরিচালিত হয়ে আসছে। তারা রাতারতি ওলিগলির মধ্যে গড়ে তুলছে এ সব সেন্টার। তিনি বলেন, খুলনা মহানগরীর শান্তিধাম মোড়ের ‘শান্তিধাম ল্যাবকেয়ার’ ডায়াগস্টিক সেন্টারের কোন আবেদন না থাকায় বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া শাসছুর রহমান রোড়ে ‘ল্যাব এইড ডায়াগনস্টিক সেন্টার’, ‘এক্সপার্ট শ্যাম্পল ডায়াগনস্টিক সেন্টার’ এবং টুটপাড়ার তালতলা এলাকার ‘সুর্যের হাসি নেটওয়ার্ক ডায়গনস্টিক সেন্টার’ এদের কোন লাইসেন্স না থাকায় বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, অবৈধ ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার কোনভাবেই চলতে দেয়া হবে না। তাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
খুলনার সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ জানান, জেলার ৯ উপজেলায় সোমবার সকাল থেকে অনুসন্ধান চালানো হয়। এসময় প্রতি উপজেলায় দু’টি করে মোট ১৮টি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালকদের চিঠি দেয়া হয়েছে। তাদেরকে বলা হয়েছে, দ্রুত বৈধ কাগজপত্র নিয়ে সিভিল সার্জন দপ্তরে হাজির হতে। তিনি বলেন, বিভিন্ন উপজেলায় ওলিগলির মধ্যে ফ্লাট ভাড়া নিয়ে গড়ে উঠেছে ডায়াগনস্টিক সেন্টার। তাদের অনেকেরই ক্লিনিক পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র নেই। তাছাড়া অনেকেই আবেদন করে এখনও লাইসেন্স সংগ্রহ করতে পারেনি। তারা যদি কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হয় তাহলে সে গুলো দ্রুত বন্ধ করে দেয়া হবে।
দীর্ঘদিন ধরে গড়ে ওঠা এসব ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নেই নিজস্ব ডাক্তার, অভিজ্ঞতাসম্পন্ন নার্স পাশাপাশি অনভিজ্ঞ টেকনেশিয়ান ডাক্তার দ্বারা রোগ নির্ণয় পরীক্ষা করানোর কারণে অহরহ ভুল রিপোর্ট দেওয়াতে সংকাটাপন্ন রোগীরা পতিত হচ্ছে মৃত্যুর মুখে। অবৈধ ক্লিনিকগুলোর মধ্যে খুলনা শহরেই রয়েছে মোট ২৬২টি বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। তার মধ্যে মাত্র ৬৮টি ক্লিনিকের বৈধ অনুমোদন থাকলেও বাকিগুলোর কোনো সরকারি অনুমোদন নেই।
খুলনা গেজেট/ টি আই