খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এনে দিয়েছেন। আর শেখ হাসিনা স্বাধীন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তি এনে দিয়েছেন। একই সাথে জীবনমান মূল্যবোধকে বিশ্বমানের করে দিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা বার বার সংকটের মুখে বাংলাদেশকে ঠেলে দিয়েছে। সেই কঠিন সংকট থেকে দেশকে রক্ষা করেছে শেখ হাসিনা। তাঁর সুচতুর দুরদর্শী বুদ্ধিমত্তাই আজ বাংলাদেশকে উন্নত বিশ্বের সিঁড়িতে উঠার স্বপ্ন দেখিয়েছে। তিনি বাঙালির স্বপ্ন সারথি হিসেবে সকল রূপকল্প নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শেষ করে বাংলাকে উন্নত বিশ্বের কাতারে দাড় করাবেন। তিনি বঙ্গবন্ধু’র একটি উদ্বৃতি দিয়ে দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ চাই”, আজ সেই সোনার মানুষের খুব অভাব হয়ে পড়েছে। যেখানে সেখানে অনুপ্রবেশকারীরা অঘটন ঘটিয়ে দোষের দায় পড়ছে আওয়ামী লীগের কাঁধে। এদের থেকে সকলকে সর্তক থাকতে হবে। কোন সহযোগী সংগঠন ও অংগ সংগঠনে দল ভারি করার জন্য অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে কোন কমিটি করা যাবে না। যদি কেউ যাচাই বাছাই না করে কমিটিতে এ ধরনের অনুপ্রবেশকারীদের দলে দায়িত্ব করে তাহলে ওই সকল নেতাকর্মীদের বিষয়ে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, অনুপ্রবেশকারী, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী আর ভূমিদস্যুকে সকল স্তরে না বলতে হবে এটাই হোক আদর্শের নেত্রী শেখ হাসিনা’র জন্মদিনে শপথ।
বাঙালির স্বপ্ন সারথি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিনে খুলনা মহানগর লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সোমবার বিকাল ৪টায় দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন খুলন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা। খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মো. ফারুক আহম্মেদ, অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, এড. অলোকা নন্দা দাস, প্যানেল মেয়র আলী আকবর টিপু, শেখ মো. ফারুক হাসান হিটলু, সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তসলিম আহম্মেদ আশা, শ্রমিক লীগ নেতা মোতালেব মিয়া, মহানগর যুবলীগ আহবায়ক সফিকুর রহমান পলাশ, মহানগর ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল, মহানগর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রাজেস।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা এড. চিশতি সোহরাব হোসেন শিকদার, কাজী এনায়েত হোসেন, মল্লিক আবিদ হোসেন কবীর, এ্যাড. রজব আলী সরদার, নুর ইসলাম বন্দ, শেখ শহিদুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ কামাল, শ্যামল সিংহ রায়, কাউন্সিলর জেড এ মাহমুদ ডন, ফেরদৌস আলম চাঁন ফরাজী, অধ্যা. আলমগীর কবীর, বিরেন্দ্র নাথ ঘোষ, কামরুল ইসলাম বাবলু, হাফেজ মো. শামীম, শেখ নুর মোহাম্মদ, শেখ মো. আনোয়ার হোসেন, কাউন্সিলর শামছুজ্জামান মিয়া স্বপন, এ্যাড. সুলতানা রহমান শিল্পী, প্যানেল মেয়র মেমরী সুফিয়া রহমান শুনু, এড. আব্দুল লতিফ, কাউন্সিলর আনিসুর রহমান বিশ্বাষ, মীর বরকত আলী, শেখ শাহাজালাল হোসেন সুজন, মুন্সি আইয়ূব আলী, জিয়াউল ইসলাম মন্টু, এ্যাড. শেখ ফারুক হোসেন, শেখ জাহিদ হোসেন, আব্দুল হাই পলাশ, হাসান ইফতেখার চালু, এমরানুল হক বাবু, সরদার আব্দুল হালিম, মো. শিহাব উদ্দিন, মো. নজরুল ইসলাম, মো. জাকির হোসেন, এ্যাড. শামীম মোশাররফ, কাউন্সিলর কনিকা সাহা, নুরজাহান রুমি, শারমিন রহমান শিখা, লিভানা পারভীন, এ্যাড. করবী, সাবিহা ইসলাম আঙ্গুরী, মনিরুজ্জামান সাগর, এস এম আকিল উদ্দিন, মুন্সি নাহিদুজ্জামান, এস এম হাফিজুর রহমান হাফিজ, আজম খান, আউয়াল হোসেন ছোটন, কাজী কামাল হোসেন, মশিউর রহমান সুমন, মাসুমুর রশীদ, ছাত্রলীগ নেতা আসাদুজ্জামান বাবু, মাহামুদুল হাসান শাওন, রনবীর বাড়ই সজল, সোহান হোসেন শাওন সহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
আলোচনা সভা শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু ও পরিচ্ছন্ন ভাবে দেশ পরিচালনার জন্য দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।দোয়া মাহফিল শেষে ৭৪ পাউন্ডের কেককাটা হয়। এর আগে সকাল থেকে দিনব্যাপী দলীয় কার্যালয়ে কোরআন খানি অনুষ্ঠিত হয়।
খুলনা গেজেট/ এম কে