বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন দেশের বিভিন্ন পেশার ৬৮ বিশিষ্ট ব্যক্তি।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে তারা বলেন, একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য জাতি আজ উন্মুখ। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নিজেও এ বিষয়ে তার অঙ্গীকারের কথা বলেছেন। আগামী তিন মাসের মধ্যে একটি নিরপেক্ষ সরকারের তত্ত্বাবধানে জাতীয় নির্বাচনের অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সেটি করার দাবি জোরালো হচ্ছে। ঠিক এই সময়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেফতার করে শান্তিপূর্ণ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলা হয়েছে বলে নিম্ন স্বাক্ষরকারীদের কাছে প্রতীয়মান হচ্ছে।
বিশিষ্ট ব্যক্তিরা বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাসী বলে আমাদের কাছে প্রতীয়মান। রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা যাতে শান্তিপূর্ণ পথে পরিচালিত হয় তার জন্য মির্জা ফখরুলের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ ও সর্বজনবিদিত। রাজনীতিতে সংঘাত পরিহার করে গণতান্ত্রিক রীতিনীতির চর্চা ফিরিয়ে আনতে মির্জা ফখরুলের মুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে আমরা মনে করি। আমরা আশা করি অবিলম্বে তাকে মুক্তি দিয়ে সরকার একটি শান্তিপূর্ণ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পথ সুগম করবেন।
বিবৃতিদাতাদের অন্যতম হলেন বরেণ্য লেখক ও ভাষাসৈনিক বদরুদ্দীন উমর, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. ওয়াহিদ উদ্দীন মাহমুদ, সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. সালেহউদ্দীন আহমেদ, অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী, অধ্যাপক ড. মাহবুবউল্লাহ, অধ্যাপক ড. আহমেদ কামাল, অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমান, ইমিরেটাস অধ্যাপক ড. এটিএম নূরুল আমিন, অধ্যাপক ড. সদরুল আমীন, অধ্যাপক ড. আকমল হোসেন, অধ্যাপক ড. ইউসুফ হায়দার, অধ্যাপক ড. তাজমেরি ইসলাম, ব্যাংকার নাসের বখতিয়ার, সাবেক রাষ্ট্রদূত সিরাজুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. চৌধুরী আবরার, ইউট্যাবের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, মহাসচিব অধ্যাপক ড. মো. মোর্শেদ হাসান খান, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাজমুস শাহাদাত, অধ্যাপক ড. দিলারা চৌধুরী, অধ্যাপক ড. মো. শামসুল আলম, অধ্যাপক ড. মো. নুরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. লুৎফর রহমান, অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস সালাম, অধ্যাপক আবুল কালাম সরকার, অধ্যাপক ড. মো. কামরুল আহসান, অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. সোমা মমতাজ, অধ্যাপক ড. এফ নজরুল ইসলাম, ড. মাসুদুল হাসান খান (মুক্তা), ড. সাইদুর রহমান পান্নু, ড. ফজলুল হক, ড. আমজাদ হোসেন, ড. শাহেদ জামান, ড. মতিয়ার রহমান, ড. হাবিবুর রহমান, ড. মো. রেজাউল করিম।
এ ছাড়া রয়েছেন ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান, ড. দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন, ড. মো. আকতার হোসেন খান, ড. মো. আবদুর রশিদ, ড. মো. ইয়ারুল কবির, ড. সাইফুদ্দিন, ড. মো. আবদুল করিম, ড. মো. সিরাজুল ইসলাম, ড. মো. আল আমিন, ড. মো. নসরুল কাদির, ড. মো. গোলাম হাফিজ কেনেডি, দেবাশীষ পাল, ড. মো. তোজাম্মেল হোসেন, ড. মো. মতিনুর রহমান, ড. মো. ইদ্রিস আলী, ড. মো. মামুন অর রশিদ, অধ্যাপক আনিছুর রহমান, অধ্যাপক তালেবুর রহমান, ড. আবুল হাসনাত মো. শামীম, অধ্যাপক তানভীর আহসান, খান মো. মনোয়ারুল ইসলাম, ড. মো. শফিকুল ইসলাম, ড. ছবিরুল ইসলাম হাওলাদার, ড. মো. মামুনুর রশিদ, ড. মো. সিরাজুল ইসলাম, অধ্যাপক জাহিদুর রহমান চৌধুরী, ড. মো. মোশাররফ হোসেন, ড. জহুর হোসেন ও ড. মাসুমা হাবিব।
খুলনা গেজেট/এনএম