খুলনা, বাংলাদেশ | ১১ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৪শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  কুয়েট উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্যকে অব্যাহতির প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার, ৫৮ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন শিক্ষার্থীরা
শিক্ষা উপদেষ্টাকে চিঠি

অধিকতর তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি কুয়েট উপ-উপাচার্যের

নিজস্ব প্রতিবেদক 

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ এবং উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. শেখ শরীফুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে অব্যাহতি দেয়ার মত পক্ষপাতমূলক সিদ্ধান্ত নেয়া থেকে বিরত থাকার জন্য শিক্ষা উপদেষ্টাকে অনুরোধ জানিয়েছেন কুয়েটের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. শেখ শরীফুল আলম।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ শরীফুল আলম শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে দাবি সম্বলিত একটি চিঠি পাঠিয়েছে। চিঠিতে তিনি অব্যাহতি দেয়ার মতো সিদ্ধান্ত অধিকতর তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।

চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, জুলাই ২০২৪ অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার পক্ষে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখার রাখি। পরবর্তীতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গত ২০২৪ সালের ৪ ডিসেম্বর আমাকে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেন। উপ-উপাচার্য পদে যোগদানের পর বিভিন্ন দাপ্তরিক সভা ও সিন্ডিকেটে প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ ও শিক্ষার্থীদের স্বার্থ সমুন্নত রাখতে সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত রেখেছি। যোগদানের পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আমাকে কোন প্রশাসনিক ও আর্থিক কাজে সহযোগিতা করেননি।

চিঠিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট কর্তৃক উপ-উপাচার্যের সীমিত আকারে প্রশাসনিক ও আর্থিক কাজ করার যে নীতিমালা ছিল তা গত ১১ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৭-তম (জরুরী) সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমে বাতিল করে দেয়া হয়। ফলশ্রুতিতে গত ৪ মাসে প্রশাসনিক কার্যাদি এবং আর্থিক বিলে স্বাক্ষর করতে না দিয়ে আমাকে বঞ্চিত করা হয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য পদটি একটি অলংকারিক পদে পরিণত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য হিসেবে আমি শুধুমাত্র লাইব্রেরী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করি।

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকে সর্বদা প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে কাজ করেছি। এ অবস্থায় গত রাতে প্রিন্ট/ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া মারফত জানতে পারি সরকারের তরফে আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য পদ থেকে অব্যাহতি দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বাস্তবতা হলো আমি নিজে এখনও আমার অপরাধ সম্পর্কে জানি না এবং আমাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগও দেয়া হয়নি যা খুবই দুঃখজনক ও অনভিপ্রেত। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসে সংঘটিত ন্যাক্কারজনক হামলার সময়ে ছাত্র ও বহিরাগত সন্ত্রাসী উভয়পক্ষকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করি এবং আমার শরীরে ২টি টিল/পাটকেল লাগে এবং ছাত্রদের সাথে আমি নিজেও আহত হই-এ ব্যাপারে সাধারণ ছাত্রদের বক্তব্য নেয়া যেতে পারে ও ঘটনার ফুটেজ দেখা যেতে পারে।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, আমাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দেয়া এবং কোন অপরাধ/অপকর্ম না করে অব্যাহতি দেয়ার মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভুল বার্তা যাবে বলে মনে করি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যকে অব্যাহতি দেয়ার মত পক্ষপাতমূলক সিদ্ধান্ত নেয়া থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি বা অধিকতর তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাচ্ছি।

খুলনা গেজেট/এমএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!