ব্যস্ত জীবনযাত্রার সাথে অ্যাংজাইটি বা অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা নিত্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা কাজের আগ্রহ কমিয়ে দেয়। সেই সঙ্গে সারাক্ষণ বিরক্তি ভর করে মনে। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা থেকে ভয় তৈরি হয়। সেই সঙ্গে কমে যায় আত্মবিশ্বাস। যার প্রভাব পড়ে প্রতিদিনের জীবনে। যারা অতিরিক্ত দুশ্চিন্তায় ভোগেন তারা কিছু টিপস অনুসরণ করতে পারেন। যেমন-
১. অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা কাজের ফোকাস কমিয়ে দেয়। নানা বিষয় নিয়ে চিন্তা করতে করতে আসল কাজের প্রতি আগ্রহ কমে যায়। সব সময়ে এমন চিন্তা মাথায় ঘোরে যার কোনও সমাধান থাকে না। চিন্তা করার উপরে আমাদের কোনও হাত নেই। কিন্তু মাথায় এলেমেলো চিন্তা এলে কিছু সময়ের জন্য বিরতি নিন। ফোন দেখবেন না। মনটা যাতে অন্যদিকে যায় এমন কিছু চিন্তা করুন। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলুন। এতে সমস্যা কমবে।
২. অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা সব সময়ে মনে বিরক্তি তৈরি করে। কাজেও এই বিরক্তির প্রভাব পড়ে। খুব টেনশন বা চিন্তা নিয়ে কোনও কাজ করলে সেটা অনেক সময়ে তেমন ভালো হয় না। মাথা ঠান্ডা রাখতে চেষ্টা করুন। এতে পুরো পরিস্থিতি বিচার করতে সুবিধে হবে। কেন আপনার এত দুশ্চিন্তা হচ্ছে তার কারণ খোঁজার চেষ্টা করুন। সব কিছু নিজের নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করবেন না। সেটা সম্ভবও নয়। তাই যা হচ্ছে, হতে দিন। আপনার পক্ষে যতটুকু করা সম্ভব ঠিক ততটাই করুন।
৩. অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা অসফল হওয়ার ভয়ের জন্ম দেয়। সব সময়ে মনে প্রশ্ন জাগে, ‘যা করছি ঠিক করছি তো?’ ‘আমি আবার কোনও ভুল করলাম না তো?’ এই প্রশ্নগুলো থেকে মনকে মুক্ত করুন। আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করুন। এরকম চললে কোনও কাজে আপনি সাহস করে এগিয়ে যেতে পারবেন না । সফল হবেন না ব্যর্থ, তা নিয়ে আগে থেকে ভাবতে বসবেন না। ফল যাই হোক দায়িত্ব নিন।
৪. কোনও অনুষ্ঠানে গেলে আপনি কি দূরে দাঁড়িয়ে থাকেন? কারও সঙ্গে কথা বলেন না? এটা ঠিক নয়। বুঝবেন আপনার অ্যাংজ়াইটি বা দুশ্চিন্তা আপনাকে এগোতে দিচ্ছে না। তাই কে কী ভাবলো, কী বললো সে সব কথা মাথায় রাখবেন না। নিজের কাজ করুন।
খুলনা গেজেট/এনএম