মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকায় একদিকে যেমন বর্ষণ বেড়েছে অন্যদিকে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তাই সাগর ও নদীবন্দরে সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, চট্টগ্রাম ও রংপুর বিভাগে বুধবার (২২ জুলাই) অতিভারী বর্ষণ হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরেই দেশের বিভিন্ন এলাকায় অতিভারী বর্ষণ হচ্ছে, যা অন্তত আরো দু’দিন অব্যাহত থাকবে।
এক পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস জানায়, মৌসুমী বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। আর মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় বিরাজ করছে।
এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে।
বুধবার দেশে সবচেয়ে বেশি বর্ষণ হয়েছে তেঁতুলিয়ায় ও কুতুবদিয়ায়। এ দুই স্থানে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে যথাক্রমে ১৫৪ মিলিমিটার ও ১৪৪ মিলিমিটার।
আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক জানিয়েছেন, সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
এদিকে সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, বরিশাল এবং চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী (৪৪-৮৮ মি.মি.) থেকে অতিভারী (>৮৯ মি.মি.) বর্ষণ হতে পারে। এতে রংপুর, রাজশাহী, দিনাজপুর, বগুড়া, পাবনা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারিপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চল সমূহের উপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কি.মি. বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
খুলনা গেজেট / এমএম