তেরখাদা উপজেলায় টানা কয়েক দিনের মুষলধারে বৃষ্টিপাতে ভেসে গেছে অনেক মাছের ঘের ও পুকুর। এতে মৎস খাতে প্রায় ৩ কোটি ২০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
মৎস্য চাষিরা বলছেন, এই ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে তাদের অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হবে। যদি সরকারের পক্ষ থেকে সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হয় তবেই তারা মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবেন।
উপজেলা মৎস্য অফিসের তথ্যমতে, ৬ ইউনিয়নে ৭ হাজার মাছের ঘের এবং ২৫০০ টির মত পুকুর রয়েছে।
জানা গেছে, মাছ উপজেলার ভূতিয়ার বিল, বাসয়াখালী বিলসহ বিভিন্ন বিলে, খালে ও নদীতে বৃষ্টির পানিতে ঘের ও পুকুর হতে ভেসে আসা মাছ ধরা পড়ছে। এদিকে ছোট বড় বিল, নদী ও খালে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরার উৎসবে মেতেছে বিভিন্ন বয়সী মানুষ। এই সব বিল ও খালে খেপলা জাল দিয়ে মাছ ধরা হচ্ছে। এছাড়া কারেন্ট জাল, চায়না জাল ব্যবহার করে মাছ ধরছে।
উপজেলা সদরের মাঝিপাড়া এলাকার শ্রীবাস মদ্দম জানান, ভূতিয়ার বিল, কোলা বিল ও বাসুয়াখালী বিল সংলগ্ন অনেক ঘের বৃষ্টিতে ভেসে গেছে। তাছাড়াও এসব বিলে দেশীয় প্রজাতির মাছ রয়েছে। বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন প্রকারের মাছ ধরা পড়ছে। খেপলা জাল ফেলে গলদা চিংড়ি, চাইনিজ পুঁটি সহ বিভিন্ন প্রজাতির পোনা, ১-২ কেজি ওজনের রুই, কাতলা, মৃগেল সহ বিভিন্ন প্রকারের মাছ ধরা পড়ছে। আবনালী এলাকায় বাসুয়াখালী সংলগ্ন বিলে মাছ ধরার উৎসবে মেতে উঠেছে অর্ধশতাধিক মানুষ। নারী পুরুষ মিলে এই বিলে মাছ ধরার বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে মাছ ধরছে।
এই এলাকার বাসিন্দা আল-আমিন জানান, কয়েকদিনের বৃষ্টিতে বিল থেকে মাছ খালে উঠে এসেছে। যার কারণে জালসহ মাছ ধরার নানা উপকরণ ব্যবহার করে বিভিন্ন আকৃতির মাছ ধরা পড়ছে। অতিবৃষ্টিতে মাছের ঘের ভেসে যাওয়ায় ঘের মালিকরা নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। এসব মাছ খাল, বিল ও নদীতে ছড়িয়ে পড়েছে।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. সাইদুজ্জামান বলেন, এ উপজেলায় দেশীয় প্রজাতির মাছের ঐতিহ্য রয়েছে। গত ৩দিনের অবিরাম বর্ষণে উপজেলায় অর্ধশতাধিক পুকুর ও ঘের ভেসে গেছে। যার কারণে চাষকৃত বিভিন্ন প্রজাতির মাছ খাল-বিলে চলে গিয়েছে। এতে চাষিদের আনুমানিক ৩ কোটি ২০ লক্ষ্য টাকার ক্ষয়- ক্ষতি হয়েছে। তেরখাদা উপজেলায় ৭ হাজারের মতো ঘের ও আড়াই হাজার পুকুর রয়েছে।
খুলনা গেজেট/এএজে