শোক দিবসের অনুষ্ঠানে অতিথি না করায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতিকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে ফরিদপুর জেলা পরিষদ প্রশাসক শামসুল হক ভোলা মাস্টারের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সকালে সদর উপজেলার চরমাধবদিয়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
এ নিয়ে এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি সামলাতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীরা জানান, জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে চরমাধবদিয়া ময়েজউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শুক্রবার শোকসভার আয়োজন করে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ। বৃহস্পতিবার সকালে সেখানে প্যান্ডেল নির্মাণ শুরু হয়। অনুষ্ঠানস্থলে গিয়ে এই প্যান্ডেল নির্মাণে বাধা দেন জেলা পরিষদ প্রশাসক ও আওয়ামী লীগ নেতা শামসুল হক ভোলা মাস্টার। এ সময় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি নজরুল ইসলামের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা জানান, ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি না করায় ক্ষুব্ধ হন শামসুল হক ভোলা মাস্টার। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তজনা চলছে।
চরমাধবদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, ‘শোকসভার জন্য সকালে প্যান্ডেল তৈরি করছিলাম। সেখানে ভোলা মাস্টার এসে প্যান্ডেল তৈরিতে বাধা দেন। আমি তখন বিষয়টা জানতে এগিয়ে গেলে তিনি কোনো কথাবার্তা ছাড়াই আমাকে কিল, ঘুষি, চর-থাপ্পড় মারতে শুরু করেন।’
এ বিষয়ে শামসুল হক ভোলা মাস্টার বলেন, ‘এই স্কুলের সভাপতি আমি। আমি জেলা পরিষদের প্রশাসক। দীর্ঘদিন আমি আওয়ামী লীগ করি। আমার বাড়িও এখানে। এই স্কুল মাঠে আওয়ামী লীগ অনুষ্ঠান করবে অথচ আমাকে জানাবে না।
‘অনেক জুনিয়রকে এই অনুষ্ঠানে অতিথি করা হয়েছে, কিন্তু আমাকে জানানোই হয়নি। তাই স্কুল কম্পাউন্ডে অনুষ্ঠানের অনুমতি দেয়া হয়নি। তারা অনুষ্ঠান করলে কম্পাউন্ডের বাইরের মাঠ বা অন্য কোথাও করবে।’
ফরিদপুর জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কল) সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কী কারণে এই ঘটনা, তা তদন্ত করে জানাতে পারব।’