দেশে অক্টোবর মাসে মোট ৪৩৬ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ৪৪ জন গণধর্ষণসহ মোট ২১৬ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। মঙ্গলবার পরিষদের লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। দেশের জাতীয় ১৩টি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে এই প্রতিবেদন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অক্টোবর মাসে দেশে শিশু ধর্ষণের ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে। পুরো দেশ যখন ধর্ষণ ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলেছে, তখন অক্টোবর মাসে ১০১ জন শিশু ধর্ষণের শিকার এবং ২৫ জন শিশু গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। এছাড়া ১৬ জন শিশুসহ ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে আরও ২৩ জনকে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী অক্টোবরে শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছে মোট পাঁচ জন এবং এর মধ্যে শিশু তিন জন। ১২ জন শিশু যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে। এসিডদগ্ধের শিকার হয়েছে ৪ জন শিশু এবং এসিডদগ্ধের কারণে মৃত্যু ১ জনের। আর অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছে ২ জন; যাদের মধ্যে অগ্নিদগ্ধের কারণে ১ জন নারীর মৃত্যু হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী অক্টোবর মাসের ৩১ দিনে নারী উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছে ১০ জন। অপহরণের ঘটনা ঘটেছে মোট ১২ জনের সঙ্গে এবং এর মধ্যে শিশু আট জন। পাচারের শিকার হয়েছে চার জন। এদের তিন জনকে পতিতালয়ে বিক্রি করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন কারণে ১১ জন শিশুসহ ৪৪ জনকে হত্যা করা হয়েছে এবং ছয় জনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।
‘যৌতুকের কারণে নির্যাতন হয়েছে আট জনের উপর। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৫ জন শিশুসহ মোট ২১ জন। বিভিন্ন নির্যাতনের কারণে পাঁচজন শিশুসহ আত্মহত্যা করেছে ছয় জন এবং আট জন শিশুসহ ৪৬ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। আর বাল্যবিয়ে সংক্রান্ত ঘটনা ঘটেছে ছয়টি এবং সাইবার ক্রাইম অপরাধের শিকার চারজন শিশুসহ মোট আট জন।’
এর আগে গত সেপ্টেম্বর মাসে শিশু নির্যাতন উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে ১৭৩ জন কন্যাশিশু নির্যাতন এবং ১২৯ জন ধর্ষণের ঘটনাসহ মোট ৩৪০ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছিল।
খুলনা গেজেট/এনএম