বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) উন্নয়ন প্রকল্পে অনিয়মের বিষয়ে প্রভাবমুক্ত ও নিরপেক্ষ তদন্ত করা হয়েছে বলে দাবি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
বেরোবি’র উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ গত ৪ মার্চ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করে শিক্ষামন্ত্রী ও ইউজিসি’র বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করেছেন, তার প্রতিবাদও জানিয়েছে ইউজিসি।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বলেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা অনুবিভাগে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বড় ধরনের অনিয়মের অভিযোগ উত্থাপিত হলে তা তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ইউজিসিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। অনিয়মের অভিযোগ পরিকল্পনা সংক্রান্ত হওয়ায় ইউজিসির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য, পরিচালক ও অতিরিক্ত পরিচালকের সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। পদমর্যাদা অনুসারে তারা কমিটির আহ্বায়ক, সদস্য সচিব ও সদস্য হয়েছেন।
তদন্ত কমিটি পেশাদার মনোভাব নিয়ে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ, সরেজমিনে পরিদর্শন ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে সম্পূর্ণ প্রভাবমুক্ত হয়ে একটি বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন পাঠানো হয়। দীর্ঘ সময় ধরে তদন্ত করা হয়েছে। তদন্তের কোনো পর্যায়ে শিক্ষমন্ত্রী বা অন্য কারও প্রভাব বিস্তারের সুযোগ নেই।
সংবাদ সম্মেলনে নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ শিক্ষামন্ত্রী ও তদন্ত কমিটি নিয়ে যে অভিযোগ করেছেন তা অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত, উল্লেখ করে ইউজিসি বলেছে, উপাচার্যের মতো দায়িত্বশীল পদে অধিষ্ঠিত একজন ব্যক্তির কাছ থেকে কোনোভাবেই এটি প্রত্যাশিত নয়।
ইউজিসি’র দাবি, শিক্ষামন্ত্রী দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তিনি কখনো কোনো বিষয়ে প্রভাব বিস্তারের বিন্দুমাত্র চেষ্টা করেননি। কোনো উপাচার্য বা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে, এমন কোনো ধরনের পরামর্শ বা নির্দেশনা তিনি কখনোই দেননি। বরং তিনি বিভিন্ন সভা-সেমিনারে গুণগত ও মানসম্পন্ন উচ্চ শিক্ষা, গবেষণা ও দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন ও টেকসই উন্নয়নে গুরুত্ব দিয়েছেন।
জাতির জনকের হাতে গড়া স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ইউজিসি উচ্চ শিক্ষার মানোন্নয়নে সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করে। সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার অনুরোধ জানিয়েছে ইউজিসি।
খুলনা গেজেট/এনএম