উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষকে ঝড়-জলোচ্ছাস থেকে রক্ষার জন্য যে বাধ নির্মান হয়েছে তা টিকিয়ে রাখা খুব জরুরী। বাঁধের স্থায়ীত্ব বৃদ্ধি, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও বাঁধের জন্য জমি অধিগ্রহনের ফলে ক্ষতিগ্রস্থ জনগণের উন্নয়নের জন্য বনায়ন করা প্রয়োজন। বনায়ন বাঁধের স্থায়ীত্ব বৃদ্ধির পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায়ও ভূমিকা পালন করবে। স্থানীয়দের স্বতঃস্ফুর্থ অংশগ্রহন এই প্রক্রিয়াকে আরও ত্বরান্বিত করবে।
বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি)দুপুরে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপকূলীয় বাঁধ উন্নয়ন প্রকল্প (সিইআইপি-১) ফেইজ-১ এর লার্নিং শেয়ারিং ওয়ার্কশপে বক্তারা এসব কথা বলেন।বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রকল্পের বাস্তবায়ন সহযোগী সুশীলনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত শেয়ারিং অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক আনম ফয়জুল হক।এসময় বক্তব্য দেন, বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক খোন্দকার মোহাম্মদ রিজাউল করিম, সামাজিক বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রহমান, সুশীলনের নির্বাহী প্রধান মোস্তফা নুরুজ্জামান, প্রকল্পের টিম লিডার মোস্তফা আক্তারুজ্জামান, ডেপুটি টিম লিডার শিরিনা আক্তার প্রমুখ।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কনসালটেন্ট একেএম সাইদের সভাপতিত্বে এই লার্নিং শেয়ারিং ওয়ার্কশপে বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা, বাঁধ সংলগ্ন এলাকার পানি ব্যবস্থাপনা সংগঠনের সদস্য, বাঁধ এলাকার জন প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন স্টেক হোল্ডাররা অংশগ্রহন করেন।
বক্তারা বাঁধ এলাকায় সামাজিক বনায়ন ও সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে গিয়ে বিভিন্ন সমস্য ও সুযোগের কথা তুলে ধরেন। পরে বাঁধ সংলগ্ন লোকালয়ের মানুষের জীবন যাত্রার বিভিন্ন দিক নিয়ে সুশীলনের সাংস্কৃতিক টিম একটি পট গান পরিবেশন করেন।
বাগেরহাট সদর উপজেলা, রামপাল, শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জ উপজেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের করা বাঁধ এলাকায় সামাজিক বনায়ন ও সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম বাস্তবায়নে গেল দুই বছর ধরে কাজ করছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সুশীলন।