দীর্ঘ সাত বছর পর পরিচালনায় ফিরেছেন করণ জোহর ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি’ সিনেমার মধ্য দিয়ে। এ সিনেমায় অভিনয় করেছেন আলিয়া ভাট ও রণবীর সিং। সিনেমাটি এরই মধ্যে ৩০০ কোটি রুপি আয় করে নিয়েছে। আলিয়া-রণবীরের এ সিনেমার গানগুলোও দর্শকের ভালোবাসা পেয়েছে, বিশেষ করে এ সিনেমার ‘ওয়াট ঝুমকা’ গানটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে। প্রিতমের সুরে অরিজিৎ সিং ও জোনিতা গান্ধী গানটি গেয়েছেন। এ গানের অনেক তারকাই রিল করেছেন। তবে গানটি নিয়ে আপত্তি আছে আশা ভোঁসলের।
বলিউডের সিনেমায় পুরনো গানের রিমিক্সের চল নতুন নয়। অনেকেই এতে আপত্তি জানান। যদিও ‘ঝুমকা গিরা রে’ গানের রিমিক্স ভার্সন হিসেবে ‘ওয়াট ঝুমকা’ মন কেড়েছে দর্শকশ্রোতাদের। অনেক শ্রোতাই বলেছিলেন, প্রীতম গানটির রিমিক্স করে নতুন মাত্রা যোগ করেছেন। ঝুমকা গিরা রে গানটি আশা ভোঁসলের। প্রখ্যাত এ সংগীতশিল্পী তার গানের রিমিক্স নিয়ে একেবারে খুশি নন। সম্প্রতি তিনি এ বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেতে। সাক্ষাৎকারে আশা রিমিক্স প্রসঙ্গে বলেন, ‘পুরনো গানের কারণেই আজও বলিউড মাতোয়ারা। এখনকার পরিচালকের মধ্যে নতুন গান বানানোর কোনো ক্ষমতা নেই। পুরনো সব গানের রিমিক্স বানিয়ে গানগুলো সিনেমায় ব্যবহার করা হচ্ছে।’
ওয়াট ঝুমকা গানটি নিয়ে স্পষ্ট করেই আশা বলেন, ‘বর্তমানে যে ওয়াট ঝুমকা গানটি এত জনপ্রিয়তা পেয়েছে, এর আসল ভার্সন আমি গেয়েছিলাম ‘‘মেরা সায়া’’ সিনেমার জন্য। এখনকার সংগীত পরিচালকদের অনেকেই নিজস্ব কিছু করার ক্ষমতা রাখেন না। তারা ক্ল্যাসিক বানাতে পারেন না বলা যায়। আমাদের সময় একটি গানের সঙ্গে জড়িয়ে থাকত অনেক কিছুই। একটা গান নিয়ে সে সময় অনেক চর্চা চলত। নতুন কিছু করুন, তাহলেই তো ভালো।’
আশা ভোঁসলে অতীতের কথা বলতে গিয়ে আরো বলেন, ‘সিনেমায় একটি গান বানানোর আগে অনেক ব্যয় করতেন গীতিকার ও সুরকাররা। প্রতিটা শব্দের জন্য তাদের লড়াই চলত। গানটা ভালো করা নিয়ে পুরো ইউনিট কাজ করত। কেউ বলত এটা চলবে না, আবার কেউ বলত এটা নয়। কেবল গায়ক-গায়িকারা নয় বরং সিনেমাটোগ্রাফার থেকে নায়ক-নায়িকাদের ভাবনায় থাকত কী করে একটা গানকে সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলা যায় দর্শকের কাছে।’ গানটি নিয়ে আশা তার মতামত দিলেও এখনো নীরব রয়েছেন করণ জোহর ও প্রিতম।
১৯৬৬ সালে মুক্তি পায় হিন্দি সিনেমা ‘মেরা সায়া’। এ সিনেমার অন্যতম জনপ্রিয় গান ঝুমকা গিরা রে গেয়েছিলেন আশা আর সুর করেছিলেন মদন মোহন। এত বছর পার হয়ে গেলেও বর্তমান প্রজন্মের কাছে গানটি এখনো জনপ্রিয়। ছবি ও সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে।
খুলনা গেজেট/এনএম