আবার কমেছে রান্নায় ব্যবহৃত তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম। এবার কেজিতে দর কমেছে প্রায় ৮ টাকা। মে মাসের মতো জুনেও এই জরুরি প্রয়োজনীয় পণ্যের দর কমল। এর আগের তিন মাস অব্যাহতভাবে দর বেড়েছিল এলপিজি গ্যাসের। এবার ১২ কেজি সিলিন্ডারের দর আগের মাসের চেয়ে কমানো হয়েছে ৯৩ টাকা। দাম কমেছে গাড়িতে ব্যবহৃত অটো গ্যাসেরও।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এই দাম কমায়। সন্ধ্যা ৬টা থেকে নতুন দর কার্যকর হবে।
নতুন দর অনুযায়ী জুনের জন্য প্রতি কেজি এলপিজির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১০৩ টাকা ৫২ পয়সা; যা মে মাসে ছিল ১১১ টাকা ২৬ পয়সা। একইভাবে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ঠিক করা হয়েছে ১ হাজার ২৪২ টাকা, যা মে মাসে ছিল ১ হাজার ৩৩৫ টাকা।
এর আগে মে মাসে প্রতি কেজি এলপিজির দাম ৮ টাকা ৬৮ পয়সা কমেছিল। সেই হিসাবে ওই সময় প্রতি ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৪৩৯ টাকা থেকে কমিয়ে ১ হাজার ৩৩৫ টাকা করা হয়েছিল। এই হিসাবে পরপর দুই মাস কমল এলপিজির দাম।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) তথ্যমতে, জুনের জন্য অটো গ্যাসের দাম প্রতি লিটার ৬২ টাকা ২১ পয়সা থেকে কমিয়ে ৫৭ টাকা ৯১ পয়সা করা হয়েছে।
সৌদি সিপি অনুসারে প্রোপেন ও বিউটেনের দাম প্রতি টন যথাক্রমে ৮৫০ ডলার থেকে কমে ৭৫৯ এবং ৮৬০ থেকে কমে ৭৫০ ডলার হয়েছে। প্রোপেন ও বিউটেনের মিশ্রণ অনুপাত ৩৫:৬৫ বিবেচনায় জুনের জন্য এই নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বাসাবাড়িতে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত (রেটিকুলেটেড) এলপিজির দাম ৮ টাকা কমিয়ে প্রতি কেজি ১০৮ টাকা শূন্য ২ পয়সা থেকে ১০০ টাকা ২৯ পয়সা করা হয়েছে।
সাড়ে পাঁচ কেজি থেকে ৪৫ কেজি পর্যন্ত সব সিলিন্ডারের দামই কমানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বিইআরসি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিইআরসি চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল, সচিব খলিলুর রহমান খান, সদস্য মকবুল-ই ইলাহি, বজলুর রহমান, আবু ফারুক প্রমুখ।
কেউ বেশি দাম চাইলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ অথবা বিইআরসিকে জানানোর অনুরোধ জানান বিইআরসি চেয়ারম্যান।
খুলনা গেজেট/ আ হ আ