জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে অন্তত ৮৫টি আসনে জালিয়াতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। দলটির কেন্দ্রীয় তথ্য সেক্রেটারি রওফ হাসান বলেছেন, দল ও প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ‘সবচেয়ে বড় ভোট জালিয়াতির’ কারণে দেশের ইতিহাসে ২০২৪ সালকে মনে রাখা হবে। খবর ডন ডট কম।
ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে রওফ বলেন, ‘হিসাব অনুযায়ী ১৭৭টি আসন আমাদের পাওয়ার কথা ছিল। তার মধ্যে আমরা পেয়েছি মাত্র ৯২টি আসন। আমাদের থেকে ৮৫টি আসনই জালিয়াতি করে কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তার দল এ বিষয়ে সাংবিধানিক ও আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ৪৬টি আসনের তথ্য যাচাই করেছি। এর মধ্যে ৩৯টি আসনে গড়মিল করা হয়েছে। নির্বাচনে কারচুপির বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য দলটির কাছে তিনটি উপায় ছিল। তার মধ্যে একটি হলো ফর্ম ৪৫ ও ফর্ম ৪৭ এর মধ্যে অমিল রয়েছে।’
রওফ দাবি করেন, জাতীয় পরিষদ ও প্রাদেশিক পরিষদের আসনগুলোতে ভোটের সংখ্যার মধ্যেও বিশাল পার্থক্য রয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে ভোট গণনা করে বিজয়ের ব্যবধান বাড়ানো হয়েছে।
দাবি প্রমাণের জন্য পিটিআইয়ের সেমাবিয়া তাহির নির্বাচনে কথিত কারচুপির একটি ভিডিও দেখিয়েছেন।
নির্বাচন বাতিল চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন
৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচন বাতিল চেয়ে পাকিস্তানের সুপ্রিমকোর্টে আবেদন করা হয়েছে। এই আবেদনের শুনানিতে সম্মতি দিয়েছেন তিন সদস্যের বেঞ্চ। আলী খান নামের এক পাকিস্তানি নাগরিক এই আবেদন করেছেন।
পাকিস্তানি গণমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি কাজী ফয়েজ ঈসা এই বেঞ্চের নেতৃত্ব দেবেন। তিন সদস্যের এই বেঞ্চে আরও আছেন, বিচারপতি মোহাম্মদ আলী মাজহার এবং বিচারপতি মুসারাত হিলালির।
সুপ্রিম কোর্টে করা এই আবেদনে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) ও ফেডারেল সরকারকে বিবাদী করা হয়েছে। পাশাপাশি ৩০ দিনের মধ্যে নতুন করে নির্বাচন দেয়ার দাবি জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি। ন্যায্যতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে বিচার বিভাগের তত্ত্বাবধানে সাধারণ নির্বাচনের দাবি করা হয়েছে এই আবেদনে।
পাশাপাশি মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নতুন সরকার গঠনের ওপর স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়েছে। একদিন আগেই, সিন্ধু হাইকোর্ট (এসএইচসি) করাচি এবং হায়দ্রাবাদের ৫৮টি নির্বাচনী এলাকার ফলাফলের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পিটিশন জারি করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এএজে