এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইয়ে প্রথম ম্যাচে কুয়েতের কাছে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে শনিবার (৩০ অক্টোবর) উজবেকিস্তানের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দল। লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের হার ৬-০ গোলে।
তাসখন্দের জেএআর স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধেই ৪-০ গোলের লিড নেয় স্বাগতিক উজবেকিস্তান। দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশের জালে আরও দুই গোল দেয় তারা। বাংলাদেশ গোলের প্রচেষ্টা চালালেও ব্যর্থ হয় সবকিছু। পুরো ম্যাচে যুবাদের অন টার্গেট শট ছিল মাত্র একটি। সেখানে উজবেকিস্তান নেয় ১২ শট। বাছাইয়ে বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচ সৌদি আরবের বিপক্ষে। ২ নভেম্বর সৌদির বিপক্ষে খেলবেন মারুফুল হকের শিষ্যরা।
এর আগের ম্যাচে ২৭ অক্টোবর কুয়েতের বিপক্ষে ১-০ গোলে হারে বাংলাদেশের যুবারা। উজবেকিস্তানের বুনিয়দকর স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই বলের নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে ছিল কুয়েত। আক্রমণ ফিরিয়ে মাঝেমধ্যে পাল্টা আক্রমণে উঠেছে বাংলাদেশ, কিন্তু প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের তেমন কোনো পরীক্ষা নিতে পারেননি বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা। সতেরো মিনিটে ফ্রি কিক আটকাতে অনেক লাফিয়ে ওঠা টুটুল হোসেন বাদশার হাতে বল লাগলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। ইদ-আল-রাশিদির দুর্বল স্পট কিক ফিরিয়ে বাংলাদেশের ত্রাতাবনে যান গোলরক্ষক পাপ্পু হোসেন।
কিন্তু একটু পরই গোল হজম করে বসে বাংলাদেশ। এ গোলে দায় ছিল গোলরক্ষক পাপ্পুরও। সতীর্থের লং পাস ধরে ডান দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা ইউসুফ আল রাশেদিকে আটকাতে পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে যান গোলরক্ষক। কুয়েতের ফরোয়ার্ড নিখুঁত চিপে পাপ্পুর মাথার ওপর দিয়ে জাল খুঁজে নেন। প্রথমার্ধের শেষ দিকে দুর্ভাগ্যের শিকার কুয়েত পারেনি ব্যবধান দ্বিগুণ করতে। ৩৭তম মিনিটে রাশেদির শট ক্রসবার কাঁপায়।
দ্বিতীয়ার্ধেও বাংলাদেশের যুবারা ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। তবে দ্বিতীয় হাফে কুয়েত কয়েক দফা আক্রমণ করলেও আর ভাঙতে পারেনি বাংলাদেশের রক্ষণ দেয়াল। ১৬ দল নিয়ে আগামী বছর শুরু হবে মূলপর্ব। সেখানে স্বাগতিক হিসেবে সরাসরি খেলবে উজবেকিস্তান। ১১ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও সেরা চার রানার্সআপ সুযোগ পাবে বাকি ১৫ দল হিসেবে।
খুলনা গেজেট/ এস আই