খুলনা, বাংলাদেশ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৮৮৬

৪২ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ কোথায় গেল : ফখরুল

গেজেট ডেস্ক

বৈদেশিক মূদ্রা ৪২ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ কোথায় গেল, সরকারের কাছে জানতে চেয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বাংলাদেশ চেম্বার অ্যান্ড কমার্স ইন্ডাস্ট্রির এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টার বক্তব্য তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘পত্রিকায় দেখলাম, তিনি খুব কষ্ট করে বলেছেন, “পয়সাই নাই, বিদ্যুৎ দেব কোত্থেকে।” কিছুদিন আগে তারা বললেন, “পয়সার কোনো অভাব নাই, ৪২ বিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ আছে।” তা গেল কোথায়?’

আজ সোমবার রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন’র ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উপলক্ষে আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। আলোচনা সভার আগে ফাউন্ডেশনের কার্যক্রমের ওপর একটি তথ্যচিত্র উপস্থাপন করা হয়।

সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বর্ণাঢ্য জীবনকর্ম তুলে ধরে ফাউন্ডেশনকে জিয়াউর রহমানের কর্মকাণ্ড-দর্শনের ওপর গবেষণা পরিচালনা, জিয়াউর রহমানকে স্মরণীয় করে রাখতে পুরস্কার প্রবর্তন এবং মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ‘জিয়াউর রহমান স্কলারশিপ’ চালু করার প্রস্তাব করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল। ১৯৯৯ সালের ১৮ অক্টোবর প্রতিষ্ঠিত এই সংগঠনের প্রেসিডেন্ট তারেক রহমানও ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এত দিন সরকার লম্বা লম্বা কথা বলেছে, একশতভাগ বিদ্যুৎ দিয়ে দিয়েছি, উৎপাদন ২৫ হাজার মেগাওয়াট, প্রয়োজন ১৫ হাজার মেগাওয়াট, ১০ হাজার মেগাওয়াট উদ্বৃত্ত থাকে। কিন্তু নাই। কিছুক্ষণ আগেও (অনুষ্ঠান চলাকালীন) বিদ্যুৎ চলে গেছে। এই হচ্ছে সরকারের উন্নয়ন, বাংলাদেশ নাকি উন্নয়নের রোল মডেল।’

১৯৭২ সাল থেকে আওয়ামী লীগ দেশের ক্ষতি করছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশকে সব দিক দিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছে, বললেই তাদের গায়ে জ্বালা ধরে, উত্তর দেয় না। তখনও দুর্নীতি চুরি ডাকাতি করেছে, বাচ্চাদের জন্য বিদেশ থেকে আনা দুধও চুরি করেছে। কম্বল চুরি করেছে। তাদের নেতা শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, সবাই কম্বল পেল তো আমার কম্বল কোথায়? চারদিকে শুধু চোর। আবার সেই অবস্থা তৈরি করেছে। যেদিকে তাকাই, দেখি চুরি ডাকাতি। বর্তমানে যত মেগা প্রজেক্ট সব কিছুর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে চুরি। এভাবে গোটা দেশকে তারা ধবংস করে দিয়েছে।’

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ১৯৯৫ সালে আওয়ামী লীগের আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ওই সময়ে আওয়ামী লীগ ১৭৩ দিন হরতাল করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন করেছে। তাদের সঙ্গে সেদিন কিন্তু জাতীয় পার্টিও ছিল, জামায়াতে ইসলামীও ছিল।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তারেক রহমান যে ডাক দিয়েছেন, তার অর্থ খুব পরিষ্কার। আবার দেশকে স্বাধীন করতে হবে, দেশকে মুক্ত করতে হবে, বাংলাদেশকে ফিরে পেতে হবে। এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে আন্দোলন শুরু করেছি। গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ফিরে পেতে চাই। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে চাই, আমাদের নেতা তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে চাই, আমরা আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে লাখ লাখ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার চাই, আমরা সত্যিকার অর্থেই একটা সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই।’ এ জন্য তরুণ-যুব সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবানও জানান বিএনপি মহাসচিব।

ক্রান্তিকাল চলছে

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, ‘বর্তমানে দেশে একটি ক্রান্তিকাল চলছে। ক্রান্তিকাল এই জন্য যে স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে একটি জাতি এমন অবস্থার মুখোমুখি হতে পারে, তা কল্পনাতীত। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে একটি জাতি স্থিতিশীলতা লাভ করবে, সত্যিকারের উন্নতির দিকে এগিয়ে যাবে, দেশে গণতন্ত্রের শিকড় মজবুত করবে এবং দেশের মানুষ একটি অর্থবহ সমাজ ব্যবস্থা নিশ্চিত করে জীবনযাপন করবে। এর একটিও বাংলাদেশে নেই।’

খুলনা নতুন বার্তা দিয়েছে

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান বলেন, ‘চট্টগ্রাম, ময়নসিংহের পর খুলনা বিভাগীয় সমাবেশ নতুন বার্তা দিয়েছে। খুলনার বার্তা কিন্তু অর্থবহ। সেই বার্তাকে অনুসরণ করে ভোট ডাকাত সরকারকে সরিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলতেই থাকবে।’

ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে আবুল হাসনাত মো. শামীম ও ব্যারিস্টার মীর হেলালের পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন অধ্যাপক সিরাজউদ্দিন আহমেদ, রিয়াজুল ইসলাম রিজু, সাংবাদিক মোস্তফা কামাল মজুমদার, অধ্যাপক এজেএম ফজলুল হক ভুঁইয়া, যুবদলের সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, মোনায়েম মুন্না, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের ডা. পারভেজ রেজা কাকন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ প্রকৌশলী, চিকিৎসক, আইনজীবী, কৃষিবিদসহ পেশাজীবীগণ, যুব দল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ছিলেন।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!