অন্যের জমিতে, পরের বারান্দায় কিংবা ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে কোনমতে যাদের দিন কাঁটতো। যাদের জমি নেই ঘর নেই। চতুর্থ পর্যায়ের দিঘলিয়া উপজেলার সেই ভূমিহীন ও গৃহহীন ১১৫ টি পরিবার পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর উপহার বিনামূল্যে জমি ও ঘর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন উপজেলার ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য নির্মিত ৪র্থ পর্যায়ে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার খান মাসুম বিল্লাহ মঙ্গলবার (২১ মার্চ) সকালে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে দিঘলিয়া উপজেলার আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের বিস্তারিত বর্ণনা করেন।
সাংবাদিকদের তিনি জানান, উপজেলায় সর্বমোট ঘরের চাহিদা ৩৯০টি। সরকারিভাবে বরাদ্দ পাওয়া গেছে ৩৮১টি ঘরের। এমপি’র মাধ্যমে ৯ টি ঘর নির্মাণাধীন অবস্থায় আছে। কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে ৩১৫ টি ঘরের। কার্যক্রম বাকি আছে ৬৬ টি ঘরের। ৬৬ টি ঘরের জন্য দিঘলিয়াতে জায়গা ক্রয় করা হয়েছে এবং ব্রক্ষগাতীতে মাটি ভরাট সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার (২২ মার্চ) ৪র্থ পর্যায়ে এ উপজেলায় ঘর পাচ্ছেন ১১৫ জন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। এর আগে ১ম পর্যায়ে ৭০ টি, ২য় পর্যায়ে ৩০ টি এবং ৩য় পর্যায়ে ১শ’ টি পরিবারকে ঘর প্রদান করা হয়েছে। এ নিয়ে এ উপজেলায় ৩১৫ টি পরিবারকে বিনামূল্যে জমি ও ঘর প্রদানের মাধ্যমে পুনর্বাসিত করা হয়েছে।
মুজিববর্ষে “বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না”। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ নির্দেশনা বাস্তবায়নের আশ্রায়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের বাসস্থান নিশ্চিতকল্পে সেমিপাকা একক গৃহনির্মাণের কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়। সমগ্র দেশের সকল ভূমিহীন গৃহহীন মানুষকে মুজিববর্ষে জমিসহ সেমিপাকা ঘর দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়।
৩টি লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য যথাক্রমে গৃহহীন ছিন্নমূল অসহায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন, প্রশিক্ষণ ও ঋণ প্রদানের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহে সক্ষম করে তোলা এবং আয়বর্ধক কার্যক্রম সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্র দূরীকরণকে সামনে রেখে সরকার আশ্রয়ণ প্রকল্পের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
ইতিপূর্বে ১ম, ২য় এবং ৩য় পর্যায়ে বিনামূল্যে জমি এবং ঘর পাওয়া উপকারভোগীরা তাদের বসত বাড়ির আঙ্গিনায় সবজি চাষ, বৃক্ষরোপণসহ প্রকল্পের পুকুরে মাছ চাষ করে নিজেদের জীবনমানের ও একইসাথে পরিবেশের উন্নয়ন করছে।
খুলনা গেজেট/এনএম