খুলনা, বাংলাদেশ | ২৪ মাঘ, ১৪৩১ | ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

Breaking News

  চুয়াডাঙ্গায় ট্রেনে কাটা পড়ে বৃদ্ধ নিহত
  নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা নিহত
  অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতি : ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের চেষ্টা শক্তভাবে প্রতিহত করা হবে

৩৫ জেলায় সাবেক মন্ত্রী, এমপি ও আ.লীগ নেতাদের বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন

গেজেট ডেস্ক

ঢাকায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙচুরের পর গত বুধবার রাতে খুলনায় ‘শেখ বাড়ি’ ভাঙচুর করা হয়। এরপর কুষ্টিয়ায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা হানিফের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। গত দুদিনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা, সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের কমপক্ষে ১৩টি বাড়ি ও বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ পরিবারের সদস্যদের অর্ধশত ম্যুরাল ভেঙে ফেলা হয়েছে। আওয়ামী লীগের সাতটি কার্যালয়ে ভাঙচুর ও আগুন লাগানো হয়েছে। গত বুধবার রাত থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টা পর্যন্ত সারা দেশ থেকে প্রথম আলোর প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য থেকে এ চিত্র পাওয়া গেছে।

ঢাকার বাইরে অন্তত ৩৫টি স্থানে হামলা, ভাঙচুর, আগুন লাগানোর ঘটনার তথ্য পাওয়া গেছে। ভোলায় তোফায়েল আহমেদ, নোয়াখালীতে ওবায়দুল কাদেরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, বরিশালে সাদিক আবদুল্লাহ ও আমুর বাড়ি ভাঙচুর–আগুন, কুমিল্লায় এমপি বাহাউদ্দিনের বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়েছে। ঢাকার বাইরে আওয়ামী লীগের নেতাদের এসব বাড়িঘরে গত ৪ ও ৫ আগস্টেও হামলা, লুটতরাজ হয়েছিল। এরপর থেকে এসব বাড়িঘর পরিত্যক্তই ছিল।

নেতাদের বাড়ি ভাঙচুর, আগুন

নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের দাদার বাড়ি বায়তুল আমানে হামলা ও ভাঙচুর করেছেন বিক্ষুব্ধ জনতা। এ সময় এক্সকাভেটর দিয়ে ওই বাড়ির দেয়াল ও ছাদ ভেঙে দেওয়া হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে কয়েক শ জনতা হামলা ও ভাঙচুর শুরু করেন। ওই বাড়িতে তখন কেউ ছিলেন না।

অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনের বাবা জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সাবেক সদস্য মোহাম্মদ আলীর জামালপুরের বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে সদর উপজেলার নরুন্দি ইউনিয়নের নরুন্দি রেলস্টেশন এলাকায় অবস্থিত ওই বাড়িতে আগুন ও ভাঙচুর করা হয়।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য মির্জা আজমের পরিত্যক্ত বাড়িতে আবারও ভাঙচুর করা হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা সাতটার দিকে জামালপুর শহরের বকুলতলা এলাকায় অবস্থিত আজমের বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়েছে।

গত বুধবার রাতে ও গতকাল ভোলায় তোফায়েল আহমেদের বাড়ি ও নোয়াখালীতে ওবায়দুল কাদেরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করা হয়। বরিশালে সাদিক আবদুল্লাহ ও আমির হোসেন আমুর বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন দেওয়া হয়। কুমিল্লায় সাবেক সংসদ সদস্য বাহাউদ্দিনের বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়।

খুলনা নগরের ময়লাপোতা এলাকায় অবস্থিত ‘শেখ বাড়ি’র একটি অংশ এক্সকাভেটর দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। গত বুধবার রাতভর দুটি এক্সকাভেটর চালিয়ে বাড়ির প্রধান ফটক, দেয়ালসহ বেশির ভাগ অংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে। কুষ্টিয়ায় এক্সকাভেটর দিয়ে ভাঙা হয়েছে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফের বাড়ির একটি অংশ।

বরিশালে বুধবার রাত থেকে বুলডোজার দিয়ে সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদিক আবদুল্লাহ এবং প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমুর বাড়ি ভাঙা হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাত একটার দিকে ছাত্র–জনতা কালীবাড়ি রোডে সাদিক আবদুল্লাহর বাসভবনের সামনে ভিড় জমান। রাত দেড়টার দিকে বাসভবন ঘিরে ভাঙচুরের একপর্যায়ে বুলডোজার দিয়ে বাড়ির নিচতলার একাংশ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

রাত দুইটার দিকে বরিশাল নগরের বগুড়া রোডে অবস্থিত আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুর বাসভবনটিও বুলডোজার দিয়ে ভাঙা শুরু হয়। ঝালকাঠি শহরের রোনালস রোডে আমুর পরিত্যক্ত বাড়িতে বুধবার রাতে ও গতকাল দুপুরে ভাঙচুর চালানো হয়। এর আগে সকাল ১০টার দিকে ঝালকাঠি কালেক্টরেট স্কুলসংলগ্ন আমির হোসেন আমুর স্ত্রীর নামের প্রতিষ্ঠান ফিরোজা আমু হোমিওপ্যাথিক কলেজ ও ফিরোজা আমু টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সীমানাপ্রাচীর ভেঙে দেন ছাত্র–জনতা।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ভোলা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদের বাসভবনেও ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়েছে। বুধবার রাত ১২টার পর এ ঘটনা ঘটে। এ সময় কিছু আসবাব লুটের খবর পাওয়া গেছে। গতকাল সকাল পর্যন্ত বাসভবনে আগুন জ্বলছিল।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় গ্রামের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালিয়েছেন বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। গতকাল বেলা একটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নোয়াখালী জেলা শাখার সমন্বয়ক মো. আরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, অসংখ্য মানুষ ওবায়দুল কাদের ও তাঁর ভাইয়ের বাহিনীর মাধ্যমে অত্যাচার ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এসব কারণে তাঁদের প্রতি যে ক্ষোভ জমেছিল, আজকের হামলা-ভাঙচুর তারই বহিঃপ্রকাশ।

রাজশাহীর বাঘা উপজেলার চকসিংগায় অবস্থিত সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের বাড়িতেও আগুন দেওয়া হয়েছে। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। উপজেলার মণিগ্রাম ইউনিয়নের সাফারি গ্রামে শাহরিয়ার আলমের ট্রেনিং সেন্টারে আগুন দেওয়া হয়।

এ ছাড়া রাজশাহী মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিষদের (স্বাচিপ) কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নওশাদ আলীর বাড়িতে, পিরোজপুরে সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম এ আউয়াল ও তাঁর ভাই সাবেক মেয়র হাবিবুর রহমানের বাড়ি, নাটোর শহরে সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলামের (শিমুল) জান্নাতি প্যালেসে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়েছে। কুমিল্লায় সাবেক সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ লোকজন। বুধবার রাত একটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁরা পেট্রল ঢেলে বাড়িটিতে আগুন ধরিয়ে দেন।

ম্যুরাল ভাঙচুর

কিশোরগঞ্জ-ভৈরব আঞ্চলিক মহাসড়কের সদরের বিন্নাটি মোড়ে অবস্থিত শেখ মুজিবুর রহমানসহ জেলহত্যার ঘটনায় নিহত চার নেতা ও সাত বীরশ্রেষ্ঠর ছবি ও ম্যুরাল গতকাল সন্ধ্যার দিকে এক্সকাভেটর দিয়ে ভেঙে দেন বিক্ষুব্ধ জনতা।

বুধবার রাত থেকে গতকাল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ পরিবারের সদস্যদের কমপক্ষে অর্ধশত ম্যুরাল, ভাস্কর্য ও প্রতিকৃতি ভাঙা হয়েছে। কোথাও কোথাও গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই দিন রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও নগরের জামালখান এলাকায় শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভাঙচুর করা হয়।

যশোরে শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার সাতটি ভাস্কর্য, ম্যুরাল ও নামফলক ভাঙচুর করা হয়েছে। বুধবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে শুরু করে মধ্যরাত পর্যন্ত বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা হাতুড়ি দিয়ে এসব স্থাপনা ভাঙচুর করেন।

সিলেটে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাঙচুর হওয়া ম্যুরালটি এক্সকাভেটর দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সুনামগঞ্জ পৌর শহরের পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে থাকা শেখ মুজিবুর রহমানের পাঁচটি ম্যুরাল এবং শহরের একটি পাড়ায় থাকা একটি মাজার বুধবার রাতে ভাঙচুর করেছেন বিক্ষুব্ধ জনতা।

ময়মনসিংহ নগরের সার্কিট হাউস মাঠসংলগ্ন এলাকায় শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালটি বুধবার রাতে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় নগরের পাটগুদাম ব্রিজ মোড়ের ‘জয় বাংলা চত্বরে’ মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ম্যুরালটি ভেঙে দেওয়া হয়। রাত পৌনে আটটায় এক্সকাভেটর দিয়ে ম্যুরালটি ভাঙতে দেখা যায়। এ সময় বিক্ষুব্ধ ছাত্র–জনতা ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা-ঢাকা’; ‘পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, ফ্যাসিবাদের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না’; ‘আওয়ামী লীগের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না’ স্লোগান দেন।

গতকাল বেলা ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাঁনমারী এলাকায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে শেখ মুজিবুরের প্রতিকৃতি ভাঙচুর করেছেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।

এ ছাড়া সাতক্ষীরায় চারটি ও কিশোরগঞ্জে শেখ মুজিবের একটি ম্যুরাল, চুয়াডাঙ্গায় শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের চারটি ম্যুরাল, ঢাকার সাভারে শেখ মুজিবের একটি ম্যুরাল, যশোরের কেশবপুরে দুটি ম্যুরাল, কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে সাবেক চার রাষ্ট্রপতির চারটি ম্যুরাল এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, নরসিংদী ও পঞ্চগড়ে একটি করে ম্যুরাল ভেঙে ফেলা হয়েছে। পটুয়াখালী জেলা পরিষদ চত্বরে স্থাপিত শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ম্যুরাল ভাঙা হয়েছে।

আ.লীগের কার্যালয়ে হামলা

গত দুদিনে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আওয়ামী লীগের বেশি কিছু কার্যালয়ে ভাঙচুর চালিয়েছেন ও আগুন দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ জনতা। কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়কে পাবলিক টয়লেট হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন ছাত্র-জনতা। মাদারীপুরে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর করেছেন যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীরা। গতকাল দুপুরে শহরের পুরান বাজার এলাকার দলীয় কার্যালয়ে এ হামলা চালানো হয়। জেলা যুবদলের সদস্যসচিব ফারুক ব্যাপারী বলেন, ‘মাদারীপুরে শেখ হাসিনার কোনো আস্তানা রাখা যাবে না। সবাই মিলে হাসিনার আস্তানা মুছে ফেলব।’

নওগাঁয় এক্সকাভেটর দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়। গতকাল বিকেল পাঁচটা থেকে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা ভাঙচুর শুরু করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে গতকাল বিকেলে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালানো হয়েছে। ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী সকল শক্তি’র ব্যানারে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা ভাঙচুর চালান।

টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় গুঁড়িয়ে দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। গতকাল সন্ধ্যায় তাঁরা জেলা আওয়ামী লীগের সদ্য প্রয়াত সভাপতি ও টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র জামিলুর রহমানের বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করেছেন। বিকেল পাঁচটার দিকে শহরের মেইন রোডে অবস্থিত জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে শতাধিক ছাত্র-জনতা মিছিল নিয়ে যান। তাঁরা এক্সকাভেটর দিয়ে অফিস ভবন গুঁড়িয়ে দেন।

চুয়াডাঙ্গায় জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে। বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে যান। তাঁরা এক্সকাভেটর দিয়ে কার্যালয়ের প্রধান ফটক, গ্রিল, নিচতলার দেয়ালের অংশবিশেষ ভেঙে দেন।

এ ছাড়া পাবনার ঈশ্বরদীতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়টিও ভেঙে দেওয়া হয়েছে। কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নামফলক ভাঙচুর

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা সব নামফলক, গ্রাফিতি ও দেয়াললিখন মুছে দেওয়া হয়েছে। পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনা আবাসিক হলের নামফলক এবং সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের শেখ রাসেল আবাসিক হলের নামফলক ভেঙে দেওয়া হয়েছে। বুধবার রাতে শেখ হাসিনার বক্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ মিছিল শেষে ওই ভাঙচুর চালায়। এ প্রসঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন পাবনা জেলার আহ্বায়ক বরকতল্লাহ ফাহাদ বলেন, ‘দেশের কোথাও ফ্যাসিবাদের চিহ্ন থাকবে না। ফ্যাসিবাদের শেষ পরিণতি দেখে কেউ যাতে আর ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে সাহস না পায়।’

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি হল থেকে শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নাম মুছে দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। ভাংচুর করা হয়েছে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও কারমাইকেল কলেজে থাকা শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালেও। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নামফলক ভেঙে ফেলা হয়।

 

খুলনা গেজেট/এইচ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!