খুলনা, বাংলাদেশ | ২৫ ফাল্গুন, ১৪৩১ | ১০ মার্চ, ২০২৫

Breaking News

  ময়মনসিংহের ফুলপুরে ট্রাক ও সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩

‘২ হাজার কোটি টাকা পাচার’ মামলায় মোশাররফের ভাইসহ ৩৭ নতুন আসামি

গেজেট ডেস্ক

দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের মামলায় সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশারফ হোসেনের ভাই খন্দকার মোহতেসাম হোসেন বাবর, ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেলসহ ৪৭ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করেছে সিআইডি।

আগের চার্জশিটে আসামি ছিল ১০ জন। নতুন করে তদন্তের পর এতে আরও ৩৭টি নাম যুক্ত হলো। এই চার্জশিটের ওপর শুনানির জন্য আগামী ৫ জুলাই দিন ধার্য করেছেন আদালত।

রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর পেশকার সাইফুল ইসলাম মিঠু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ২২ জুন মামলার তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার রায়হান উদ্দিন খান ৪৭ জনের বিরুদ্ধে এ সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করেন।

এর আগে ২০২১ সালের ৩ মার্চ বরকত ও রুবেলসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার উত্তম কুমার বিশ্বাস আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ওই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালত এই অভিযোগপত্র আমলে নেন। এরপর গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এ মামলার অভিযোগ গঠন শুনানি করেন। সেদিন পুলিশ প্রতিবেদনে কিছু ‘অসঙ্গতি’ দেখতে পেয়ে আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশনা মেনে তদন্তের পর আরও নাম যোগ হলো।

অভিযোগপত্রে অন্য আসামিরা হলেন- ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী, আসিকুর রহমান ফারহান, এএইচএম ফুয়াদ, ফাহাদ বিন ওয়াজেদ ওরফে ফাহিম, কামরুল হাসান ডেভিড, মুহাম্মদ আলি মিনার ও তারিকুল ইসলাম ওরফে নাসিম।

২০২০ সালের ১৬ মে রাতে ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামট মহল্লার মোল্লাবাড়ী সড়কে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে দুই দফা হামলা হয়। পরে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন তিনি। ওই ঘটনায় ৭ জুন রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে বরকত ও রুবেলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর তাদের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও অর্থপাচারের খবর বেরিয়ে আসতে থাকে।

২০২০ সালের ২৬ জুন অবৈধ উপায়ে দুই হাজার কোটি টাকা আয় ও পাচারের অভিযোগে বরকত ও তার ভাই রুবেলকে প্রধান আসামি করে ঢাকার কাফরুল থানায় মামলা করে সিআইডি।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১০ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ফরিদপুরের এলজিইডি, বিআরটিএ, সড়ক বিভাগসহ বিভিন্ন সরকারি বিভাগের ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন বরকত ও রুবেল। এ ছাড়া মাদক ব্যবসা, ভূমি দখল করে অবৈধ সম্পদ করেছেন তারা। এসি, নন–এসিসহ ২৩টি বাস, ড্রাম ট্রাক, বোল্ডার, পাজেরো গাড়ির মালিক হয়েছেন। এ টাকার উল্লে­খযোগ্য অংশ হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করেছেন তারা।

এতে আরও বলা হয়, গত বছরের ১৮ জুন এসএম মিরাজ এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা নিযুক্ত হয়ে তদন্ত শুরু করেন। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, অবৈধভাবে অর্জিত অর্থের মধ্যে এই দুই ভাই অন্তত দুই হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন।

খুলনা গেজেট/এসজেড




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!